ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে বয়কট করেছেন। বুধবার বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটে। এতে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয়।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ দিন সমাজকল্যাণ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ৫০২ নম্বর কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজ আসনে বসেন। এ সময় কয়েকজন ছাত্র উঠে ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে পরীক্ষা দিবে না বলে জানান। অন্য শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে এ নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়। তখন কর্তৃপক্ষ ওই কোর্সের পরীক্ষা অভিযুক্তদের ছাড়াই ১০টা ১৫ মিনিটে পরীক্ষা শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত ১৫ জন শিক্ষার্থীর নাম আসে। এদের মধ্যে সমাজকল্যাণ বিভাগের পাঁচজন অভিযুক্ত ছিল। তারা হলো বঙ্গবন্ধু হলের হাসিবুর রশীদ শাওন, মুহসীন হলের মেহেদী, জিয়া হলের গালিব, জগন্নাথ হলের সৌভিক ও এফ রহমান হলের রাকিবুল।
বিভাগটির শিক্ষার্থীদের দাবি, ভর্তি জালিয়াতিতে যারা অভিযুক্ত তাদের সাথে আমরা ক্লাস করবো না, পরীক্ষায়ও বসবো না। অতিদ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়।
সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্তর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে। তবুও বুধবার সকালে যখন সব শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের সঙ্গে পরীক্ষা দিবে না বলে জানায়। তখন আমরা অভিযুক্তদের ছাড়াই পরীক্ষা নিই।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে সমাজকল্যাণ বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
বিবার্তা/রাসেল/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]