নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা প্রকাশের একদিন পরই তাতে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। সেটি এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, হিন্দুধর্ম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সপ্তম শ্রেণির গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের নির্দেশনা, শিক্ষার্থীর উপাত্ত সংগ্রহের ছক, ষষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন ট্রান্সক্রিপ্টে কিছু সংশোধন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সংশোধনীগুলো সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

অধিদফতরের চিঠিতে বলা হয়, ১৩ বিষয়ের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সংশোধিত মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা এনসিটিবি থেকে অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। সেগুলো পরবর্তী কাজের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হলো।

জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা প্রকাশ করে মাউশি। এর একদিন পর ৯ নভেম্বর সেটির সংশোধনী প্রকাশ করা হলো।

এদিকে, গত ৯ নভেম্বর থেকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। মূল্যায়ন শুরুর প্রথম দিনে ৩ বিষয়ের কাজ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রত্যেক বিষয়ের জন্য সেশনপ্রতি সময় বরাদ্দ ছিল ৯০ মিনিট বা দেড় ঘণ্টা।

গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে।

২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে তা চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক শিখনকালে।

বিবার্তা/রাসেল/জবা