লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ লক্ষ্যে বিষয়-বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রকল্প পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ নভেম্বর, শুক্রবার গাজীপুরে একটি সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
কর্মশালায় কলেজ নেটওয়ার্ক এবং এলএমএস কীভাবে পরিকল্পিতভাবে প্রণয়ন করা যায় সেটি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। যাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী সমভাবে এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘এলএমএস পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক বিষয়ের বিভিন্ন রিসোর্স সহজভাবে অনলাইনে পাবে। বিভিন্ন বিষয়-বিশেষজ্ঞদের লেকচারও অনলাইনে সহজলভ্য হবে। এ লক্ষ্যে ই-কনটেন্ট তৈরি করা হবে। এসব কনটেন্ট যদি ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দেয়া যায়, ই-জার্নালের একসেস নিশ্চিত করা যায়, একাডেমিক সকল সুবিধা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়- তাহলে শিক্ষাখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। আমাদের উদ্দেশ্যও সফল হবে।’ এলএমএসের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি মাস্টার প্ল্যানের যেন সামঞ্জস্য থাকে সে বিষয় সামনে রেখে সংশ্লিষ্টদের পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান উপাচার্য।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার আদিত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের (সিইসি) অধ্যাপক ড. উপমা কবির, ঢাবির সিইসি বিভাগের প্রফেসর ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, ঢাবির সিইসি বিভাগের প্রফেসর ড. সুরাইয়া পারভীন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাবাচ্ছুম, আইসিটি কনসালটেন্ট সরোয়ার মোর্শেদ পরাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) দপ্তরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক সুমন চক্রবর্তী প্রমুখ।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]