
লক্ষ্মীপুর নির্বাচন অফিসে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মো. রুবেল (৪১) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি এক ছাত্রলীগ নেতার ভাই। সাবেক এক মন্ত্রীর পিএস শিমুল চক্রবর্তীর ইন্ধনে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া ৫ আগস্টের পর চাকরি হারানোর ক্ষোভও কাজ করে তার মধ্যে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায়।
রুবেল লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির মৃত আব্দুল হাসেমের ছেলে এবং সদর উপজেলার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ হাকিমের বড় ভাই। তিনি বিদ্যুৎ অফিসে (বিপিডিবি) চালক পদে কর্মরত ছিলেন।
শিমুল চক্রবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত একেএম শাহজাহান কামালের এপিএস ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।
পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক জানান, প্রয়াত সংসদ সদস্য শাহাজাহান কামালের এপিএস শিমুল চক্রবর্তীর নির্দেশে ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে রুবেল জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন দেন। আগুন দেওয়ার আগে বিকাশের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয় এবং ঘটনার পর বাকি আট হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়।
তিনি বলেন, রুবেলের ছোট ভাই হাকীম ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় তার বিদ্যুৎ অফিসের চাকরি চলে যায়। দীর্ঘদিন বেকার থাকার কারণে ক্ষোভ এবং আর্থিক লোভে তিনি এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটান।
এসপি আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজের পর্যালোচনা করে আগুন দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের টিম অভিযান চালিয়ে রুবেলকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। আদালতে হাজির করলে তিনি আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মুখোশ পরা এক যুবক জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন দেয়। এতে তিনতলা বিশিষ্ট ভবনের নীচ তলার একটি স্টোর কক্ষে থাকা বেশকিছু কাগজপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ১৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিবার্তা/সুমন/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]