
ফেনীর লেমুয়া বাজারে চাঁদাবাজচক্রের ছুরিকাঘাতে আহত ব্যবসায়ী মো. বারেক আহমেদ (৪৭) মারাগেছেন। চিকিৎসাধিন অবস্থায় বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। চার সন্তানের জনক বারেক আহমেদের মৃত্যুতে লেমুয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান এলাকাবাসী। আটককৃত দুই আসামি দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বোগদাদিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান।
জানাগেছে, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে সদর উপজেলার লেমুয়া বাজার সংলগ্ন দেয়ানজি পুকুর পাড়ে পৌঁছলে ওঁতপেতে থাকা এলাকার চিহ্নিত ৪/৫জন চাঁদাবাজচক্রের সদস্য লেমুয়া বাজারের ব্যবসায়ী বারেক আহমেদ কুপিয়ে আহত করে। এসময় তাঁর সাথে থাকা নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। বারেক আহমেদ লেমুয়া মাস্টার পাড়া গ্রামের খায়েজ আহমেদের ছেলে এবং ৪ সন্তানের জনক। দীর্ঘ ১০ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউইতে চিকিৎসাধীন থাকার পরও তার জ্ঞান ফিরেনি।
চাঁদাবাজচক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের দাবীতে লেমুয়া বাজারে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। তারা অনতিবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান। ঘটনার পর থেকে মো. বারেক আহমেদের স্ত্রী খালেদা আকতার চার সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে বলেন, মামলা করতে কারও নাম উল্লেখ করিনি। তবুও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। চার ছেলেকে নিয়ে আমি কই যাবো। স্বামীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ওরা চাঁদা দাবি করেছিল। দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
ডাক্তারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ছুরি-চাপাতির আঘাতে মাথার একটি অংশে গভীর জখম হয়েছিল। দ্রুত অপারেশন করার পরও মস্তিষ্ক স্বাভাবিক হয়নি।আইসিইউতে তার লেভেল চার ছিল। সব চেষ্টার পরও জ্ঞান ফেরেনি।
বাজারের বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের দাবি, ৫ আগস্টের পর লেমুয়ায় একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজচক্র গড়ে উঠেছে। তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বাকেরের ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হলেও মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, পরিবারের দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে লেমুয়ার কেরানিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শাহজাহান সুমন ও জসিম উদ্দিনের ছেলে শাকিল রনি দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে শরিফ মোল্লা নামে অপর একজনের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধৃত অপর আসামিগন হলেন হাসান নেওয়াজ মানিক ও আরিফুল ইসলাম।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]