
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে গেলে তা জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থের জন্য ‘হুমকি হয়ে দাঁড়াবে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, জনগণের প্রতিবাদ বন্ধ করে সরকার এই এক মাসের মধ্যেই বন্দর নিয়ে ‘বিদেশিদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করতে চাইছে’।
১১ অক্টোবর, শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিয়া স্মৃতি যাদুঘর সেমিনার হলে এক মতবিনিময় সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের মতো জাতীয় সম্পদকে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর না করে জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। জাতীয় সক্ষমতা তৈরি করা ছাড়া কোনো দেশ বিশ্বে স্বাধীন মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে দাঁড়াতে পারে না।
“চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে গেলে, তা জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এ চক্রান্ত চট্টগ্রামসহ সারাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
আনু মুহাম্মদ বলেন, “বন্দরের পরিচালনা বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার একগুয়ে আচরণ করছে। প্রধান উপদেষ্টা এর বিরোধিতাকারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন চট্টগ্রাম পুলিশ প্রশাসন একমাসের জন্য বন্দর এলাকায় যেকোনো সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
“দেখা যাচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানের পরও বর্তমান সরকার সেই হাসিনার স্বৈরাচারী ভাষাতেই কথা বলছেন। অর্থাৎ জনগণের প্রতিবাদ বন্ধ করে সরকার এই একমাসের মধ্যেই বন্দর নিয়ে বিদেশিদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করতে চাইছে। বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে এ চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে।”
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]