
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক খুঁড়ে রেখে ফেলে দেওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি এখন হাঁটু পানির নালায় পরিণত হয়েছে। খুড়ে রাখা ওই সড়কে বৃষ্টির পানি জমে এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নিত্যদিন দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের নজর নেই সংকটময় এ সড়কে। স্থানীয়রা কলা গাছের ভেলায় চলাচল করছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের দুহুলি–জোরগাছ জিসি সড়ক (দৈর্ঘ্য ৫ কিমি ২৫০ মিটার) উন্নয়ন প্রকল্পে ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। দরপত্র অনুযায়ী কাজ পেয়েছি বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। তারা পারফরমেন্স সিকিউরিটি জমা দিলেও কার্যাদেশ না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানায়, এরই মধ্যে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সড়কের কাজ দখল করে নেন এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পৃথক লিখিত অভিযোগ দেয় এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ও কালীগঞ্জ থানায়। পরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেও প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক খুঁড়ে ফেলা হয়। এতে সড়কটি এখন পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি এখন হাঁটু পানির নালায় পরিণত হয়েছে। এতে পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টকর। ভ্যান, রিকশা কিংবা অ্যাম্বুলেন্স চলাচল একেবারেই বন্ধ।
তেতুলিয়া এলাকার সামদ মিয়া বলেন, দেড় মাস ধরে সড়কটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। এখনই সমাধান না হলে দুর্ভোগ অসহনীয় হয়ে উঠবে।”
গৃহিণী রেহেনা বেগম বলেন, “মাদরাসার ছাত্ররা নিজেরাই মাটি সমান করে কোনো রকমে হেঁটে যাওয়ার পথ করেছে। কিন্তু হোঁচট খেয়ে খাদের পানিতে পড়ার ভয় সবসময় থাকে। ছোট শিশুরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হাবীবুর রহমান বলেন, “জনদুর্ভোগ হলেও আমার কিছু বলার নেই। কার্যাদেশ দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাহী প্রকৌশলীর।”
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, “কাজটি বেআইনিভাবে শুরু হয়েছিল, তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ চলছে। খুব শিগগিরই কার্যাদেশ জারি হলে কাজ শুরু হবে। এলাকার মানুষ দ্রুত সমস্যার সমাধান ও সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশা, সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
বিবার্তা/হাসানুজ্জামান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]