
রাজবাড়ী সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান এর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ফেসবুকে এক মিনিট দুই সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অভিযুক্ত মো. হাফিজুর রহমান রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।তার বাড়ি গোয়ালন্দ উপজেলায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে উলঙ্গ অবস্থায় শার্ট ও প্যান্ট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হাফিজুর রহমান। এক যুবক তাকে চড়-থাপ্পড় মারার পাশাপাশি গালাগাল করছেন। পাশ থেকে আরও এক যুবক তাকে হুমকি দিচ্ছেন, আর এক নারী বোরকা পরে পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।
ভিডিওতে হাফিজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, বিষয়টা আমি বুঝছি, সমস্যা নাই। আমি ব্যবস্থা করতেছি, সমস্যা নাই। বিষয়টি যেইটুকু আছে, এইটুকুই থাক।
অপর যুবকরা উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন,গলার স্বর নামান, বেয়াদবি করতেছেন কেন? সিনক্রেট করতেছেন কেন?
ভিডিওটির নিচে ক্যাপশনে লেখা ছিল, রাজবাড়ী উপসহকারী কৃষি অফিসার ও সভাপতি, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (ডিকেআইবি), রাজবাড়ী সদর হাফিজুর রহমান লুচ্চামি করতে গিয়ে ধরা। ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার রাতে সূর্যনগরে।
তবে ভিডিওটি কবে,কোথায় ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে হাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত ও সরকারি দুটি নম্বরে ফোন করা হলে দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, হাফিজুর রহমান ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদের (ডিকেআইবি) রাজবাড়ী সদর উপজেলার সভাপতি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদের রাজবাড়ী জেলা শাখার অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় রাজবাড়ী সদর উপজেলা থেকে তিনি বদলি ও তদবির বাণিজ্য করে আসছে। এজন্য তিনি ব্যবহার করেছেন রাজনৈতিক পদ পদবি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হাফিজুর নিয়মিত কর্মস্থলে থাকেন না এবং তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয়ে তিনি পার পেয়ে যান।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আমি দেখেছি।তার সাথে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি একাধিক বার তার ফোনে কল দিয়েছি,তবে বন্ধ পাইছি।তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না? তিনি বলেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে যে নির্দেশনা পাব সেই মত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিবার্তা/মিঠুন/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]