
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। অপরদিকে টানা ছয়দিন ধরে জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ও আলু ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষণ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কৃষক জহির আলী বলেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে আলু ক্ষতি হবে। এতো কষ্ট করে আবাদ করেছি। ভেবেছিলাম আলুর ফলন ভালো হলে বিক্রি করে ভালো টাকা পাবো। এখন দুশ্চিন্তায় আছি। আল্লাহ ভরসা।
একই ইউনিয়নের দিনমজুর আজগার আলী বলেন, প্রচণ্ড শীতে হাত পা বরফ হয়ে যায়। আর কাজ না থাকায় কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের কাজলী বেগম বলেন, পাতলা চাদর গায়ে দিয়ে আছি। এই কাপড় দিয়া ঠান্ডা থেকে বাঁচা যায় না। একটা কম্বল দিলে ভালো হতো।
অন্যদিকে তীব্র শীতে জেলায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। অনেকেই সমস্য নিয়ে ভিড় করছেন হাসপাতালে
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডা. শাহিদ সর্দার বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। মাঝখানে শীত কমে যাওয়ায় নতুন করে আর চাহিদা দেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি প্রতিকূলে গেলে নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এ রকম শীত আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। একই সঙ্গে থাকতে পারে কুয়াশাও।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]