শিরোনাম
বাঁশের ব্রিজ তৈরিতে ব্যস্ত খেয়াঘাটের মালিকরা
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২১, ১৪:১৫
বাঁশের ব্রিজ তৈরিতে ব্যস্ত খেয়াঘাটের মালিকরা
আপেল মাহমুদ
প্রিন্ট অ-অ+

নওগাঁর মান্দা উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীতে পানি কমে যাওয়ায় পারাপারের জন্য বাঁশের ব্রিজ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় ঘাট মালিকরা। প্রতিবছর পানি কমে আসায় পর তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন ব্রিজ তৈরির কাজে। এতে করে পারাপারের জন্য নদীর পাড়ে এসে মানুষকে আর নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সহজেই যাতায়াত করতে পারবে নদীর এপার থেকে ওইপারে।


১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলা। এর ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। অথচ এই নদীতে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের ফেরিঘাটে পারাপারের জন্য একটি মাত্র পাকা ব্রিজ রয়েছে। ফেরিঘাট ছাড়া উপজেলার অন্য এলাকাগুলোতে নৌকা যোগে পারাপার করে থাকেন খেয়া ঘাট মালিকরা।


নৌকায় পারাপারে অনেক কষ্ট ও সময় নষ্ট হয় সাধারণ এলাকাবাসীর। অনেক সময় পারাপারের জন্য নৌকা না পেয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য আসা অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতীরা। গত কয়েক বছর ধরে নদীতে পানি কমে আসার সাথে সাথে নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা হয়ে থাকে বাঁশ কাঠের ব্রিজ।


যা দেখলে যেকারো মন জুড়ায় সহজে। নদী এলাকায় মানুষ মটরসাইকেল,সাইকেল,ভ্যান চালিয়ে যেভাবে স্বাচ্ছন্দে এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন, অন্য এলাকা থেকে আগরতলা ব্রিজগুলো নড়বড়ে হওয়ায় অতটা স্বাচ্ছন্দে পার হতে পারেনা । বাঁশ কাঠের তৈরি এই ব্রিজটি তৈরিতে দূরত্ব অনুযায়ী ব্যয় হয় দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা ।



তবে সুবিধা হলো এতে ব্যবহৃত বাঁশ-কাঠ কয়েক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও এ ধরনের একটি ব্রিজ এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা তৈরি করে থাকেন। তবে এই শুকনো মৌসুমে এ ধরনের ব্রিজ নির্মাণে অনেক খুশি পথচারীরা। নদীর পাড়ের বাসিন্দারা অপেক্ষায় থাকে কখন তৈরি করা হবে এই ব্রিজটি।


উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের স্বপন জানান, প্রতিবছর এ সময় ব্রিজ তৈরি হলে পারাপারের জন্য অনেক সুবিধা হয়। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে যেতে আমাদের সময় নষ্ট হয় না। ব্রিজ না থাকলে নদী পার হতে ঘণ্টা লেগে যায়।


ওই গ্রামের অরেক বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন, মূলত রাত দশটার পর নৌকা দিয়ে নদীতে আর পার হওয়া যায় না। পারাপার বন্ধ করে দেয় তারা। এই বাঁশ কাঠের ব্রিজ থাকায় রাত যতোই হোক না কেনো আমরা সহজে পারাপার হতে পারি । আত্রাই নদী এলাকায় প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ জায়গায় এই বাঁশ কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে থাকেন খেয়া ঘাট মালিকরা।


বুড়িদহ ঘাটের গোপাল চৌধুরী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে প্রতি বছরই আমরা বাঁশ,কাঠ, ড্রাম দিয়ে ব্রিজ তৈরি করে থাকি। নদীতে বালু উত্তোলনের ফলে যেসব জায়গায় বাঁশ দেয়া সম্ভব হয় না সেখানে ভাসমান ভাবে ড্রাম দেয়া হয়। ড্রাম দেয়া জায়গাগুলো একটু বেশি দোল পাড়ে। তবে পারাপারের কোনো সমস্যা হয় না। বছরের এ সময় ব্রিজ তৈরি করলে জ্যৈষ্ঠ,আষাঢ় মাস পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়। বছরের এই সময়টুকু নৌকা দিয়ে পারাপার করার আর কোনো ঝামেলা থাকে না আমাদের। এলাকার মানুষজন স্বাচ্ছন্দে সব সময় নদীর এপার থেকে ওপারে পারাপার হয়ে থাকেন।


বিবার্তা/আপেল/এমবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com