রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের চর সিলিমপুর এলাকায় কংক্রিটের তৈরি সিসি ব্লকসহ ৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর ৯ নং ওয়ার্ডে এ ভাঙন দেখা দেয়। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বসতভিটাসহ রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চর সেলিমপুর এলাকার নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের কাজের কংক্রিটের তৈরি সিসি ব্লকসহ ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী নায়েব আলী শেখ বলেন, বুধবার দুপুর থেকেই ভারী বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি কমার পর বিকেলের দিকে নদীপারের সিসি ব্লক দেবে যেতে শুরু করে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মার ভাঙন অব্যাহত দেখেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। যখন ভাঙে তখন কিছু জিও ব্যাগ ফেলেই তাদের কাজ শেষ হয়ে যায়। ভাঙন মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজও ঝিমিয়ে পড়েছে। নদীভাঙনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক, মন্ত্রীরা আসে, পরিদর্শন করেই চলে যায়। কিন্তু আমরা কোনো স্থায়ী সমাধান পাই না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে পদ্মায়ও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া নদীতে প্রচুর ঢেউও রয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে ভারী বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টিতে সিসি ব্লকের নিচের বেড ম্যাটিরিয়াল সরে গিয়ে ওপরের সিসি ব্লক ধসে পড়ে।
বিকেলে ভাঙন দেখেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কেন কাজ করেনি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের শ্রমিক সংকট ছিলো। তাই গতকাল জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলতে পারিনি। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করছি।
বিবার্তা/এমও
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]