
ঝাল মুড়ি, ছোট বড় সববয়সী মানুষের প্রিয় খাবার, পৃথিবীতে ঝাল মুড়ি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমেই আছে। আর যদি সুস্বাদু ঝাল মুড়ি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। বলছি সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসী বাহেরচর গ্রামের ঝাল মুড়ি বিক্রেতা হক সাহেবের। যার দোকানে প্রতিদিন ঝাল মুড়ি বিক্রি হয় ছয় থেকে আট হাজার টাকা। বংশ পরমপরায় ঝাল মুড়ি বিক্রি করেই এখন স্বাবলম্বী তিনি।
আত্মপ্রত্যয়ী ব্যক্তি তিনি। কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষার তেল বুট মুরগির মাংস,গরুর বট দিয়ে অত্যন্ত মুখরোচকভাবে মুড়ি মাখিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছেন তিনি। শুধু সাভার নয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকেও তার দোকানে ঝাল মুড়ি খেতে আসেন লোকজন। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তার দোকানে ঝাল মুড়ি বিক্রি হয়। ঝাল মুড়ি বিক্রি করেই তিনি এখন স্বাবলম্বী। এক’শ থেকে এক’শ পঞ্চাশ টাকা প্রতি প্লেট মুড়ি বিক্রি হয় তার দোকানে।
সরেজমিনে হক সাহেবের দোকানে দেখা যায়, ক্রেতারা তার মাখা মুড়ি খেতে ব্যস্ত। ঝাল মুড়ি বিক্রি করে পরিবারের যাবতীয় খরচ এখান থেকে বহন করছেন তিনি। তিনি বলেন,ব্যবসায় প্রতিদিন ছয় হাজার থেকে আট হাজার টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। এতে কয়েক হাজার টাকা প্রতিদিন আয় হয় তার। এই উপার্জিত অর্থ দিয়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার চলে তার।
ঝাল মুড়ি খেতে আসা লোকজন বলেন, হক সাহেবের এর হাতের মাখা মুড়ির কোন তুলনাই করা যায়না । যে একবার খাবে তাকে পুনরায় আসতে হবে তার দোকানে ঝাল মুড়ি খেতে। তার হাতের ঝালমুড়ি না খেলে যেন মানুষের দিনেই কাটে না। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো দোকান খোলা থেকেই যেন সিরিয়াল দেয়া শুরু হয় আর ঝাল মুড়ি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়াল থাকে।
বিবার্তা/বিদ্যুৎ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]