ঋণের চাপ সামলাতে পারছিলেন না পঞ্চাশোর্ধ হুমায়ুন কবির। ক্রমাগত ঋণের চাপের কারণে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট নগরীর হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার গেট এলাকার জালালাবাদ বোর্ডিংয়ের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালী থানার পুলিশ। তার বাড়ি ঢাকায় বলে জানা গেছে।
এ সময় একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। সুইসাইড নোটে ঋণের কথা উল্লেখ করে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি এস এম আবু ফরহাদ।
কিসের ঋণ বা কোন ব্যাংকের ঋণ এ রকম কিছু নোটে উল্লেখ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘অনেক ঋণ। বিভিন্নরকম ঋণ ছিল তার। নির্ধারিত করে কোনো কিছু উল্লেখ নেই।’
ওসি এস এম আবু ফরহাদ জানান- বিগত ২৯ এপ্রিল একাই জালালাবাদ বোর্ডিংয়ের একটি কক্ষে ওঠেন হুমায়ুন কবির। তার সাথে এখানের কারো পরিচয়ও নেই। তবে সুইসাইড নোটে তার পরিচয়, আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছেন। তার সুইসাইড নোটটি অতি মার্জিত ও লেখার ধরণে শিক্ষিত লোক মনে হয়েছে। রেখে যাওয়া মোবাইল নম্বরে তার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তার ভাই কি ব্যবসা করেন তিনিও জানেন না। বলেছেন, কোন উকিলের সাথে থাকেন।
এদিকে অপর একটি সূত্রে জানা যায়, সুইসাইড নোটের লেখাগুলো হৃদয়বিদারক। হুমায়ুন কবির ওই নোটে লিখেছেন, ‘অনেক ঋণ রেখে গেলাম। পারলাম না আমি শোধ করতে। আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার সন্তানদের মানুষ করো। তাদের দিকে খেয়াল রেখো।’
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]