
সাভার উপজেলার একটি গ্রামে খরগোশ পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এক বেকার যুবক। শুধু খরগোশের খামার নয় এর পাশাপাশি তিনি বিড়াল, বিভিন্ন জাতের পাখিও পালন করছেন। খরগোশ ও বিড়ালের সাথে মানুষের এমন ভালোবাসার বন্ধন দেখতে ওই যুবকের বাড়িতে প্রতিদিন নানান বয়সী মানুষ ভীড় করেন। এই খামারে পালন করা হচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রকার খরগোশ।
জানা যায়, সাভার উপজেলার উত্তর জামসিং এলাকার বেকার যুবক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শখের বসে কয়েক মাস আগে বাজার থেকে চারটি খরগোশ কিনে এনে পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তার খামারে চারটি খরগোশ বাচ্চা দিলে তার খামারে এখন অর্ধশতাধিক খরগোশ হয়েছে। ইতি মধ্যে তিনি খরগোশ বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দরিদ্র এই মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে খরগোশ পালন। খরগোশ বিক্রি করে সংসারের খরচ চালিয়ে এখন স্বনির্ভর তিনি।
পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতা পেলে বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালন করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তরুণ এই খরগোশ পালনকারী। নানান রঙের খরগোশ রয়েছে তার খামারে। খরগোশ পালনে তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। খরগোশের খাদ্য হচ্ছে কাঁচা ঘাস, ভাত ও ভুষি। খরগোশের পাশাপাশি তিনি এই খামারে বিড়াল,বিভিন্ন জাতের পাখি, কোয়েল পাখিও পালন করছেন।
এছাড়া দেশে মাছের চাহিদা মেটাতে তিনি বাড়ির আঙ্গিনায় একটি ভাসমান পুকুরে নানা জাতের দেশীয় মাছ চাষ করেছেন। পুকুরটি বাড়ির আঙ্গিনায় হওয়ায় মানুষের মাঝে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে কয়েকগুণ। এদিকে খরগোশ ও বিড়ালের সাথে খামারীর এমন ভালোবাসা হওয়ায় সেখানে প্রতিদিন মানুষ ভীড় করেন তা দেখার জন্য।
খরগোশ পালনকারী মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতি মাসে একেকটি খরগোশ ৭-৮টি বাচ্চা দেয়ায় লাভজনক কাজে পরিণত হয়েছে খরগোশ পালন। পরিণত একেকটি খরগোশ বাজারে বিক্রি হয় ৬০০-৭০০ টাকায়। খরগোশের ছোট বাচ্চা বিক্রি হয় জোড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
তিনি বলেন, তার দেখাদেখি এ উপজেলায় অনেকেউ খরগোশ পালন করতে উৎসাহ হচ্ছেন। সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিনি খামারটি আরও বড় করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাভার পৌরসভার এক নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদ বলেন, লাভজনক খরগোশ পালনের এই কাজ আশপাশে ছড়িয়ে গেলে এলাকার আরও ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
বিবার্তা/শরীফুল/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]