
ওয়ানডে সিরিজের পুনরাবৃত্তি করল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ হারের পর জিতে গেল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। ৮৩ রানের দারুণ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাল সফরকারীরা।
ডাম্বুলার রানগিরি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
রানের হিসেবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়েছিল তারা।
সব মিলিয়ে এর চেয়ে বড় জয় আছে আর মাত্র একটি। ২০২১ বিশ্বকাপে পিএনজির বিপক্ষে ৮৪ রানে জিতেছিল তারা।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সব মিলিয়ে এবারই প্রথম একশর কমে অলআউট হলো তারা।
১৩ ম্যাচের খরা কাটিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির দেখা পান লিটন কুমার দাস। দুবার জীবন পেয়ে ১ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এছাড়া শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৪৮ রান। বল হাতে অবদান রাখেন পাঁচ বোলারের সবাই। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দুই ওভারে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান। রানের খাতা খুলতে পারেননি পারভেজ। তানজিদ করেন ৫ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামাল দেন লিটন ও তাওহিদ হৃদয়। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা। ২৫ বলে ৩১ রান করে আউট হন হৃদয়। একই ওভারে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
পরে শামীমকে নিয়ে ঝড় তোলেন লিটন। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ৩৯ বলে যোগ করেন ৭৭ রান।
দুবার অবশ্য জীবন পান লিটন। প্রথমে ৩০ রানে স্টাম্পড হওয়া থেকে রক্ষা পান। পরে ৫৬ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন মাহিশ থিকশানা। দুবারই বোলার ছিলেন জেফ্রি ভ্যান্ডারসে।
ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি করা ইনিংসটিতে ১৯তম ওভারে আউট হন লিটন। পরের ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করা শামীম।
দ্বিতীয় ওভারে কুসাল মেন্ডিসকে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউটে শুরুটা করেন শামীম। পরের ওভারে কুসাল পেরেরাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। এক ওভার পর তার শিকার আভিশকা ফার্নান্দো।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে চারিথ আসালাঙ্কার বিদায়ঘণ্টা বাজান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন পাথুম নিসাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪১ রানের জুটি। এরপর রিশাদ উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দিলে মাত্র ২৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
একই ওভারে নিসাঙ্কা ও চামিকা কারুনারাত্নেকে আউট করেন তরুণ লেগ স্পিনার। দলের সর্বোচ্চ ৩২ রান করে ফেরেন নিসাঙ্কা।
২০ রান করা শানাকাকে আউট করেন মিরাজ। থিকশানাকে ড্রেসিং রুমে পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হন ভ্যান্ডারসে।
১৬তম ওভারে বিনুরা ফার্নান্দোকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন রিশাদ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ বুধবার।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]