টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শক্তিশালি নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে নামিবিয়া। বুধবার (২০ অক্টোবর) আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডাচদের এক ওভার আর ৬ উইকেট হাতে রেখে হারিয়েছে তারা।
নামিবিয়ার ইতিহাসের সেরা সাফল্য লিখতে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড ওয়াইজের নামটি মনে করতেই হবে। প্রোটিয়া এই অলরাউন্ডারের হাত ধরেই যে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়ে ইতিহাস গড়েছে নামিবিয়া!
দক্ষিণ আফ্রিকায় কলপাক চুক্তিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ওয়াইজ। তবে দেশের হয়ে খেলার পথ রুদ্ধ হয়ে গেলেও স্বপ্নপ্রদীপটা নিভতে দেননি। নামিবিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানকার ক্রিকেটে নাম লেখান। তিন বছর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডার সুযোগও পেয়ে যান বিশ্বকাপে, এবার নতুন দলের জার্সিতে। সেই সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়েছেন তিনি।
প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাত্তা পায়নি নামিবিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নবাগত দলটি। এবার জয় তুলে নিয়েছে দাপুটে খেলেই।
আজ শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের নায়ক ডেভিড ওয়াইজ ৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় খেলেন ৬৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। এর আগে বল হাতে ৪ ওভারে ৩২ রানে একটি উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার।
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীরে শুরু করে নামিবিয়া। স্টিফেন বার্ড আর জেন গ্রিন ২৭ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৩২ রান। ১২ বলে ১৫ করে গ্রিন ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর দ্রুতই আরো দুটি উইকেট হারায় নামিবিয়া। ১৭ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ৩ ব্যাটসম্যান। ক্রেগ উইলিয়ামস ১৩ বলে ১১ আর বার্ড ২২ বলে ২১ রানের ধীর ইনিংস খেলে আউট হন।
ঝড়ো এক জুটিতে সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামলে উঠেন ডেভিড ওয়াইজ আর গেরহার্ড এরাসমাস। ২৫ বলে তারা পূর্ণ করেন ৫০ রানের জুটি। ৫০ বলে ৯৩ রানের এই জুটিই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় নামিবিয়ার দিকে।
২৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন ওয়াইজ। এরাসমাস ২২ বলে ৩২ করে যখন ফিরছেন, তখন জয়ের জন্য ১৯ বলে মাত্র ২০ রান দরকার। ডেভিড ওয়াইজ বাকি পথটা সহজেই পাড়ি দিয়েছেন।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]