আলভারো মোরাতা, একসময় খেলতেন রিয়াল মাদ্রিদে। খেলেছেন নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদেও। এখন তিনি রয়েছেন য়্যুভেন্তাসে। সেই মোরাতাকে দলে চাচ্ছেন বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। গুঞ্জন সত্যি হলে বার্সার কোচ হিসেবে জাভির তৃতীয় সাইনিং হবেন মোরাতা।
বার্সেলোনার অবস্থাটা অতো ভালো নয়। তাই দেখে দেখে এবং অর্থকড়ির দিকে চোখ রেখে সামনে এগোতে হচ্ছে জাভিকে। সে রকম ভাবনা থেকেই হয়তো স্বল্প খরচে মোরাতে দলে ভেড়াতে চান তিনি।
জাভি এর আগে দলে নিয়েছেন ফেরান তোরেসকে। ৫৫ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে তাকে কিনেছে কাতালান ক্লাবটি। জানুয়ারিতে শীতকালীন দল বদলে বার্সেলোনার সঙ্গে যোগ দেবেন ফেরান। গত সেপ্টেম্বর থেকে ম্যানচেস্টারের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে। ইনজুরির কারণে তিনি ছিলেন মাঠের বাইরে।
গত কয়েক বছরে বেশ আলো ছড়িয়েছেন ফেরান তোরেস। এ বছর স্পেনের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৮ গোল করেছেন তিনি সব মিলিয়ে ২২ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল। এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও নজর কেড়েছেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ৪৩ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল। এসব কারণেই বোধহয় তার প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল বার্সার।
তোরেসকে দলে নিলেও বার্সা আছে ঋণের তলে। গত আগস্টের মাঝামাঝি বার্সেলোনা জানিয়েছিল, তাদের ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ইউরো ঋণ আছে। এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লাবের সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বলেন, বার্সেলোনার ঋণের পরিমাণ ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এর জন্য সব দায় নাকি বার্তেমেউ কমিটির। লাপোর্তা কমিটির যুক্তি, বার্তেমেউই বার্সার সভাপতি থাকা অবস্থায় এই ঋণ করে গেছেন। কেননা গত বছরের শেষ মুহূর্তে এসে পদত্যাগ করেন তিনি। লাপোর্তা গত মার্চে দ্বিতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ঋণ করলে সেটি পাহাড়সম অবস্থায় গিয়ে ঠেকত না।
লাপোর্তা বলেন, ‘আমরা যখন ক্লাবের দায়িত্ব নিই, তখন আমাদের বলা হয় অন্তত ৮০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ নেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত গোল্ডম্যান স্যাকস এই ঋণের অনুমোদন দেয়। এর কারণ ছিল, খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের পারিশ্রমিক দেওয়ার মতো কোনো অর্থই তখন বার্সার ফান্ডে নেই। এ পরিস্থিতি তো আমরা তৈরি করিনি। আগে থেকেই তৈরি করা ছিল।’
বিবার্তা/বাবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]