আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যেনো গ্যালারি কানায় কানায় ভরা থাকে। সেজন্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চলেছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)।
করোনাকালে নতুন স্বাভাবিকতায় বদলে গেছে সব কিছু। না হলে কোপা আমেরিকা কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের মতো মঞ্চে গ্যালারি কেনো ফাঁকা পড়ে থাকবে? আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এমনটাই হতে পারে গ্যালারির নিয়তি।
প্রবেশাধিকার দেয়া হবে মাত্র ৫০ শতাংশ দর্শককে। কিন্তু এমন কিছু হোক, তা চাইছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাদের চাওয়া অন্তত ফাইনালে যেনো গ্যালারি কানায় কানায় ভরা থাকে
১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভেন্যু হলেও শুরুতে তা হওয়ার কথা ছিলো ভারতের মাটিতে। ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে সেটা সরিয়ে নেয়া হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের মাটিতে।
বিশ্বকাপ সরে গেলেও ভারতের কাছ থেকে আয়োজনের স্বত্বটা কেড়ে নেয়নি আইসিসি। সেই অধিকার বলেই সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের কাছে নিজেদের চাওয়াটা জানাতে চলেছে ভারত। দেশটির সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডও ভারতের এই চাওয়াতে সায় দিতে চলেছে।
তবে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে আমিরাতের একেক স্টেডিয়ামের একেক নিয়মে। দুবাইতে খেলা দেখতে হলে যেমন দুটো ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার সনদ দেখালেই চলবে, আবুধাবি কিংবা শারজায় বিষয়টা তেমন নয়।
সেখানে খেলা দেখতে হলে সনদ তো বটেই, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা পরীক্ষার ফলাফলও দেখাতে হবে কর্মীদের। তাহলেই মিলবে গ্যালারিতে প্রবেশের অনুমতি।
এর ওপর আবার শারজায় ১৬ বছরের নিচে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি নেই কোনোভাবেই। আবুধাবিতে আবার ১২ থেকে ১৫ বছর বয়স্কদের শর্তসাপেক্ষে অনুমতি আছে, করোনার টিকার সনদ প্রয়োজন নেই, তবে কোভিড পরীক্ষার ফলাফল দেখাতেই হবে।
তিনটি ভেন্যুতে প্রশাসনের নিয়মও তিন রকমের। তাই দর্শকদের পোহাতে হবে নানান রকম ঝক্কি।
তবে ভারতের আশার আলো হচ্ছে দুবাই। সেখানেই হবে ফাইনাল, একটি সেমিফাইনালের ভেন্যুও সেখানেই। সেখানে নিয়মনীতিও কিছুটা শিথিল, আর তাই ফাইনালে ভরা গ্যালারি দেখার সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেয়া চলছে না আদৌ।
বিবার্তা/জুয়েল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]