
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এতে মানুষের সব বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান রয়েছে। পরকালে সফল হতে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলা ও নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করা আবশ্যক।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, হে নবী আপনি তাদের বলে দিন- যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ৩১)।
ইসলামি শরিয়তে গুনাহকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক. কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ দুই. সগিরা গুনাহ বা ছোট পাপ। কবিরা গুনাহের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য হলো শিরক বা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করা।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, আল্লাহ অন্য গুনাহ ক্ষমা করলেও তার সঙ্গে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না। (সুরা নিসা: ৪৮)।
আর কিছু কবিরা গুনাহকে ইসলাম এভাবে চিহ্নিত করেছে যে, ওসব গুনাহ করার সময় মানুষের মধ্যে ঈমান থাকে না। তার মানে, ওসব গুনাহ ঈমানওয়ালার জন্য নয়। আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন--জিনাকারী যখন জিনায় লিপ্ত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না। যখন কেউ মদপান করে, তখন সে মুমিন থাকে না। কেউ চুরি করার সময় মুমিন থাকে না এবং কোনো ছিনতাইকারী এমনভাবে ছিনতাই করে যে, ভুক্তভোগী তার দিকে অসহায় তাকিয়ে থাকে; তখন সে (ছিনতাইকারী) মুমিন থাকে না। (সহিহ বুখারি: ৬৭৭২)
ইমাম নববি (রহ) বলেন, এই হাদিসের তাৎপর্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলেমদের মতভেদ রয়েছে। হাদিসে উল্লিখিত গুনাহগুলোতে লিপ্ত থাকার সময় তা সম্পাদনকারীর ঈমান থাকে না। অতঃপর যখন সে এসব গুনাহের কাজ ছেড়ে দেয়, তখন আবার ঈমান ফিরে আসে। এটিই হাদিসের প্রকাশ্য অর্থ।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]