তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, এই বাংলাদেশ ধ্বংস করেছে একটি পরিবার। জিয়া পরিবারের সীমাহীন দুর্নীতির ইতিহাস সবাই জানে। খুনি জিয়া, তাঁর স্ত্রী সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়া এবং তাঁদের কলাঙ্গার পুত্র তারেক জিয়া কীভাবে অর্থ উপার্জন করেছে তা কারও অজানা নয়।
তিনি বলেন, ভাঙা সুটকেস ও ছেড়া গেঞ্জি থেকে কীভাবে তারা হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে তাও বাংলার মানুষ জানে। অপরদিকে, জাতির পিতার পরিবার সবসময় রাজনীতি করে মানুষের সেবা করার জন্য। সম্পদের লোভ-লালসা তাঁদের কোনো দিনই ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও কোনো দিন সম্পদের লোভ করেননি। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও করেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় যিনি আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনিও কিন্তু অবৈতনিক হিসেবেই কাজ করেন।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্মবিশ্বাস শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যের শুরুতে মুরাদ হাসান বলেন, আমার প্রতি অনুরোধ করুন আমি কিছু বিষয়ে যাতে কথা না বলি।
তথ্যপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করি। মেরুদণ্ডহীন মির্জা ফখরুল আর খোঁড়া রিজভী আন্দোলনের ভয় দেখায়। কাদেরকে দেখায়? মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে, ডা. মুরাদ হাসানকে? রাজাকারের বাচ্চারা, ওই ভয় আমরা পাই না। আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমাকে নিয়ে কথা বলেন, কত যোগ্যতা আছে? আসেন বসি। কোথায় বসবেন? জাতীয় প্রেস ক্লাবে? চলেন বসি। আমার মন্ত্রিত্ব থাকবে না থাকবে- তা আপনাকে বলার অধিকার কে দিয়েছে?
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেওয়ার জন্য সংসদে প্রস্তাবের বিষয়ে বক্তব্যের সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডা. মুরাদ মাথা নিচু করে কথা বলবে না। মাথা উঁচু করেই কথা বলবে। কাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করো, কুশপুত্তলিকা দাহ করো? আমরা যদি শুরু করি তাহলে ঢাকার মাটিতে টিকতে পারবেন না। ডা. মুরাদ হাসান সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিয়েন। তারপরে কথা বলেন। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমাকে সম্মান দিয়ে কথা বলেন। আমি আমার সন্তানদের জন্য রাজনীতি করি। আমার সন্তানদের জন্য একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণ আমার রাজনীতি করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, যাদের ভালো লাগে না, ওই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, একাত্তরের পরাজিত শক্তি তোমরা আবারও পরাজিত হবে। ৫০ বছরের বাংলাদেশে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবা না। আমরা বেঁচে থাকতে এটা হবে না।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আজকে যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন ৫৮ বছর হতো। এখানে এই চেয়ারে বসতেন। বঙ্গবন্ধুর অপর দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালকে বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর সবচেয়ে বড় গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
বিবার্তা/আরকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]