মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার মারা গেছেন
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:০৬
মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার মারা গেছেন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং বিমান বাহিনী সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার মারা গেছেন।


আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর এক বার্তায় এই তথ্য জানায়। তাদের বার্তায় বলা হয়, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন এ কে খন্দকার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে 'বীর উত্তম' উপাধি দেওয়া হয়।


মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন কিলোফ্লাইটের সদস্য ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।


গত কয়েক বছর ধরেই গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন এ কে খন্দকার। শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে গত ৭ ডিসেম্বর তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।


আগামীকাল রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে তার জানাজা ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননা শেষে তাকে সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।


১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন এ কে খন্দকার। যুদ্ধের শুরুতেই তারা যুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।


একাত্তরের ১৫ মে উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রেজার সঙ্গে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছান তিনি।


১৬ মে মুক্তিবাহিনীর প্রধান কর্নেল আতাউল গণি ওসমানী ও প্রবাসী সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন এ কে খন্দকার।


এ সময় তাকে মুক্তিবাহিনীর উপ-প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনের ক্ষেত্রেও নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখেন তিনি।


আগস্ট মাসের শেষের দিকে বিমানবাহিনী গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে এ কে খন্দকারকে অপারেশন কিলোফ্লাইটের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।


মুক্তিযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান কর্নেল ওসমানীর অনুপস্থিতিতে মুক্তিবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এ কে খন্দকার।


এ কে খন্দকারের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি রংপুর শহরে। তার পৈত্রিক বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলায়। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি।


১৯৭২ সালে এয়ার ভাইস মার্শাল পদোন্নতি পেয়ে বিমান বাহিনীর প্রধান হন এ কে খন্দকার। ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।


২০০৯ সালে পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পান এ কে খন্দকার। ভারত ও অস্ট্রেলিয়াতে রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।


বিবার্তা/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com