ইসরাইলে তৈরি হ্যাকিং সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’ যে ৪৫টি দেশে ছড়ানোর তথ্য এসেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের নামও রয়েছে।তবে বাংলাদেশে কোনো ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি এবং এ বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশ এ ধরনের কোনো সফটওয়্যার কিনেছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ রকম সফটওয়্যার কেনার প্রশ্নই আসে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টা ভালো বলতে পারবে।
৪৫টি দেশ হলো- যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব, ইসরাইল, সিঙ্গাপুর, আলজেরিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, মিশর, ফ্রান্স, গ্রিস, ভারত, ইরাক, আইভরি কোস্ট, জর্ডান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লাটভিয়া, লেবানন, লিবিয়া, মেক্সিকো, মরক্কো, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন অঞ্চল, পোল্যান্ড, কাতার, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, টোগো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, উজবেকিস্তান, ইয়েমেন ও জাম্বিয়া।
ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, কোনো দেশে কোনো ফোন পেগাসাসের কবলে পড়ার অর্থ এই নয় যে ওই দেশের সরকার ওই স্পাইওয়্যারের ক্রেতা।
শক্তিশালী স্পাইওয়্যার পেগাসাস ইসরাইলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ তৈরি করেছে এবং তা বিক্রি করেছে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে। আর এই হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকার মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদদের ফোনে নজরদারি চালিয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি গণমাধ্যম হ্যাকিংয়ের এই ঘটনা ফাঁস করার পর এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]