
গণভোট আয়োজনে দিনের বেলা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পাওয়ার পর রাতে এ বিষয়ক অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে আয়োজন করা হবে গণভোট।গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অভিপ্রায় নেওয়া হবে।
২৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে অধ্যাদেশটি অনুমোদন করা হয়।
অধ্যাদেশে বলা হয়, চব্বিশের ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত কতিপয় প্রস্তাবের বিষয়ে জনগণের সম্মতি রহিয়াছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য গণভোটে উপস্থাপন করতে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ প্রণয়ন ও জারি করেছে।
সংসদ না থাকায় আইন প্রণয়ন সম্ভব না হওয়ায় জুলাই সনদ আদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণভোট আয়োজনের জন্য এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এ অধ্যাদেশ ‘গণভোট অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে অভিহিত হবে।
এদিন উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে বিফ্রিংয়ে জানানো হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণভোটে প্রশ্ন থাকবে একটি।
সেটা হচ্ছে, “আপনি জুলাই জাতীয় সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ এবং জুলাই সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?”
ব্যালটে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ দুইটা বক্স থাকবে, যারা সম্মতি জানাচ্ছেন তারা হ্যাঁ ভোট দেবেন এবং যারা এর পক্ষে নন তারা ‘না’ ভোট দেবেন।
রাতে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, গণভোট অধ্যাদেশের আলোকে গণভোট বিধিমালা ২০২৫ চূড়ান্ত করতে দু'য়েক দিন লাগবে।
গণভোটের প্রাসঙ্গিক কিছু প্রস্তুতির পর সংসদ ও গণভোটের তফসিল দেওয়ার ক্ষণগণনা শুরু হবে।
তিনি বলেন, অধ্যাদেশ জারির পর বুধবার কমিশন নিজেরা বসবে বিধিমালা প্রস্তুত করা হবে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ২৯ নভেম্বর শনিবার ‘মক ভোটিং’ রয়েছে।
এরপর তফসিলের তারিখ জানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির, ডিসেম্বরে প্রথমার্ধেই হবে তফসিল।
সংসদ ও গণভোট একই দিনে হওয়ায় যুগপৎ তফসিলও একসঙ্গে হবে। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতিও শেষধাপে রয়েছে।
দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে বিফ্রিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত হবে, ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালি, স্টাম্প্যাড পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ আছে।
ভোটে দুই রঙের ব্যালট পেপার থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাদা পেইজের উপরে কালো প্রিন্টের ব্যালট পেপার। আর রঙিন কাগজ ব্যবহার করা হবে গণভোটের জন্য। প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট দিতে পারবেন।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]