সাক্ষাতকার
'জামায়াতের দর্শন উগ্রবাদিতা, তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ঘটনাবলী ঘটিয়েছে'
-সাক্ষাৎকারে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ০৯:৪৯
'জামায়াতের দর্শন উগ্রবাদিতা, তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ঘটনাবলী ঘটিয়েছে'
সোহেল আহমদ
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত মে মাসে সমমনা ৬টি ইসলামী দল নিয়ে গঠিত হয়েছে লিবারেল ইসলামি জোট। জোটটির নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনারে অংশ নিয়ে নানা সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের কথা বলেছেন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে বলা হয়েছিল। এদিকে সেই জামায়াতে ইসলামী গত ১০ জুন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে রাজধানীতে সমাবেশ করেছে।



এ নিয়ে কী ভাবছে ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো? এছাড়া সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর ঝিগাতলায় নিজ কার্যালয়ে বিবার্তার সাথে কথা বলেছেন লিবারেল ইসলামি জোটের অন্যতম নেতা, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবার্তার নিজস্ব প্রতিবেদক সোহেল আহমদ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো-



বিবার্তা: গেলো মে মাসে লিবারেল ইসলামি জোট নামে ৬টি ইসলামি রাজনৈতিক দলের জোট হয়েছে। এই জোট করার উদ্দেশ্য কি?


মিছবাহুর রহমান চৌধুরী: আমরা ইসলামী জোট প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি। এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেইনি, আলাপ আলোচনা চলছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের উন্নয়ন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এক শ্রেণির লোক শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এগুলোকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে মূলত সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এবং বিভিন্ন ব্যক্তি সমাজে যারা একেকজন একেকটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত; হকপন্থী, পীর-মাশায়েখ, কওমি আলেম ওলামা, তরিকাপন্থী, সুফীবাদে বিশ্বাসী। যারা রাজনীতি সচেতন এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণ চান, উগ্রবাদের পরিবের্তে শান্তি, স্থিতিশীলতা চান। দেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে চান বিশেষ করে সরকারের সকল উন্নয়ন কাজকে সমর্থন করেন আমরা এই সমস্ত দল নিয়ে জোট গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আমরা লিবারের ইসলামিক এ্যলায়েন্স বা লিবারেল ইসলামী জোট নামে এই জোট গঠনের চেষ্টা করছি।


বিবার্তা: বিএনপি-জামায়াত সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। বিশেষত এক দশক পর গত ১০ জুন জামায়াত প্রকাশ্যে সমাবেশ করেছে। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আপনার কী মত?


মিছবাহুর রহমান চৌধুরী: জামায়াতের যে রাজনৈতিক দর্শন আমরা তা সমর্থন করি না। তাদের দর্শন ছিল উগ্রবাদিতা। সময়ে সময়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ঘটনাবলী ঘটিয়েছে। খালেদা জিয়াকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলা হয়। আমি প্রত্যাশা করিনি, এরকম একজন অভিজ্ঞ নেত্রীর নেতৃত্বাধীন দল তারা জামায়াতে ইসলামীর মতো একটা সুবিধাবাদী, মানবতাবিরোধী অপরাধে যারা অভিযুক্ত তাদেরকে সাথে নিয়ে সরকারকে অস্থিতিশীল করবেন বা সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্য স্থির করলেন। নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার পরিবর্তেন পদ্ধতি এটা যেন তারা ভুলে গেলেন। তার পরিবর্তে চর্তুদিকে তারা তাণ্ডব সৃষ্টি করলেন। কখনো জঙ্গিবাদ, কখনো উগ্রবাদ। এমনকি ২০০৪ সালে দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী, সেই সময়কার সবচেয়ে জনসমর্থিত নেতা ও তার দলের নেতাদেরকে গ্রেনেড হামলা করে একত্রে খুন করার জন্য পরিকল্পনা নেয়া হলো।


জামায়াতে ইসলামীকে এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি। সেহেতু তারা ইনডোরে একটা মিটিং করতে চেয়েছে। যারা ২০১৩, ২০১৪, ও ২০১৫ সালে অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত ছিলেন, রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস করেছেন। এখনো শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। যারা তাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে- তাদের হত্যা করবেন, নিজেদের মত চাপিয়ে দিবেন এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র করবেন এদেরকে রাস্তায় নামতে দেয়া সরকার ও জনগণের জন্য কতটা কল্যাণের সেটা সরকার বিবেচনা করবে। কিন্তু তারা (জামায়াত) কখনো অঙ্গীকার রাখে না। তারা যেদিন মাঠে নামল তাদের বক্তব্য তো শুনেছেন। তারা দেশকে নাশকতার দিকে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে।


তাহলে সরকারের সিদ্ধান্ত কি সঠিক?


মিছবাহুর রহমান চৌধুরী: এটা আমি বলবো না। এটা সরকারকে জিজ্ঞেস করেন।


বিবার্তা: বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন।


মিছবাহুর রহমান চৌধুরী: আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানতে হবে। ফিলিস্তিনে এমন কোনো দিন আছে ইসরাইলিরা মানুষ হত্যা করছে না। প্রতিদিন নিরীহ ফিলিস্তিনিদে হত্যা করছে। তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে। কই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঠিক করেছে? করেনি। তারা তাদের স্বার্থের জন্য যেকোন কাজ করতে পারে। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকে আমরা নীতি হিসেবে গ্রহণ করি তাহলে তো আমরা স্বাধীনতাই পেতাম না। তারা (মুক্তিযুদ্ধের সময়ে) জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছিল, সোভিয়েত রাশিয়া যদি ভেটো প্রয়োগ না করতো তাহলে তো বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, আমরা পাকিস্তানের অংশই থাকতাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনিনি বলে আমরা স্বাধীন হয়েছি, তাদের কথা শুনিনি এজন্য দেশ এতো উন্নতি লাভ করেছে। এটা তারা সহ্য করতে পারছে না যে, বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারেন। ওখানে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধান চাইতে পারেন। বিশ্ব নেতাদের মধ্যে ওনার নেতৃত্বের সম্মান প্রতিষ্ঠা হয়েছে; এটা যুক্তরাষ্ট্র চায় না।


ওবায়দুল কাদের সাহেব ও ফখরুল সাহেব ওনারা দু'জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে এমনভাবে কথা বলেন মনে হয় যেন প্রভুর কোনো নির্দেশনা আসছে। আপনারা শেখ হাসিনার মতো কথা বলেন। তাহলে বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ যে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র এটা প্রমাণ হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী বললো এ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধীদের ক্ষতি হয়ে গেছে আর বিরোবোধীরা বলছে, সরকারের ক্ষতি হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে যেন দুইজনের মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে। এটা তারা কেন বলছেন? কেন তারা মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। আমাদের নির্বাচন আমরা করব। আমাদের সংবিধান আছে, সংবিধানের নিয়মেই নির্বাচন করব।


বিবার্তা: বরিশাল সিটি করপোরেশ নির্বাচনে কেন্দ্রের বাইরে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তার রক্তাক্ত হওয়ার চিত্র আমরা দেখেছি। এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?


মিছবাহুর রহমান চৌধুরী: ইসালামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চরমোনাইয়ের মরহুম পীর সাহেব হযরত মাওলানা ফজলুল করিম। ওনার সাথে আমরা একসাথে রাজনীতি করেছি। ওনাকে সবাই ওলি, বুজুর্গ হিসেবে জানে। উনি জামায়াতে ইসলামের স্বরূপ উদঘাটন করেছিলেন। উনি প্রায় বলতেন জামায়াতকে কখনো একটা ইসলামী দল বলা যায় না। ইসলামের কিছুই তাদের কাছে নেই।



বরিশাল সিটি নির্বাচনে মাওলানা ফয়জুল করিম মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। উনি এখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি। আমি আগেও বলেছি, ওনাকে জামায়াত-শিবির ঘেরাও করে ফেলেছে এবং বিশেষ করে ওনার ছাত্র সংগঠনে জামায়াত-শিবির ঢুকে গেছে। আওয়ামী লীগের ব্যাজ, বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকলেই এরা অওয়ামী লীগ নয়। এরা ছদ্মবেশে অনেক ঘটনা ঘটাতে পারে।


আমি নিন্দা করি ওনার মতো একজন আলেম, একটা দলের নেতা, একজন মেয়র প্রার্থী ওনার গায়ে এমনভাবে হাত তোলা ঠিক হয়নি। উনি কেন, যে কোনো মানুষের, তার সম্মানের, সম্পদের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব। সরকার যদি তদন্ত করে বিচার না করে তাহলে এটা বুঝা যাবে সরকারের ব্যর্থতা। এটা করতেই হবে এবং প্রকৃত ঘটনা জনগণকে জানাতে হবে।


বিবার্তা: সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ বিষয়ে কি বলবেন?


মিছবাহুর রহমান চৌধুরী: বিশ্বের কোন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সস্তা হয়ে গেছে বা যেখানে ছিল এরকম আছে? বিশ্ব সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এটা অবাক করার মতো। সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম যারা বাড়ায় এদের ব্যাপারে সজাগ থাকা, শাস্তি দেয়ার দাবি আমরা সবসময় করে আসছি। এটা তো মানুষ চালিত সরকার। এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি দিয়ে মানুষকে খাদ্য বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।


দেশে তো কোনো ক্রাইসিস নেই। এটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে জ্বালানিসহ নানা সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য তো বেড়ে গেছে। লন্ডনে কমপক্ষে ৭০-৮০ গুণ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বাড়ার খবর পাচ্ছি। আমাদের দেশে না খেয়ে কোনো মানুষ এখনো মারা যায়নি, আল্লাহর হুকুম। তারপরেও বলব যে, অসাধু ব্যবসায়ীরা যারা দাম বাড়বার জন্য সিন্ডিকেট করে কারসাজি করছে, এদের ব্যাপারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। যাতে জনগণের পেরেশানি না হয়।


বিবার্তা: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন দেখতে চান?


মিছবাহুর রহমান চৌধুরী: আমরা চাই শান্তি, স্থিতিশীলতা। আমরা চাই, আমাদের চিকিৎসা আরো সহজ হবে। চিকিৎসা খুব ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে- যদিও সরকার অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা চাই, আমাদের সকলের সন্তান গরিব-ধনী লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত না রয়। মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত না হয়।


আমরা চাই মানবাধিকার, ফ্রিডম অব স্পিচ। এক কথায় সুন্দর, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে দেখতে চাই। যেখানে ভাত, কাপড়, বাসস্থানের অভাব থাকবেন না। অশান্তি, হিংসা বিদ্বেষ কম থাকবে। মানুষে মানুষে প্রচণ্ড বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যটা কমিয়ে আনতে চাই। আর্থিক বৈষম্যের কারণে সামাজিত বৈষম্য সৃষ্টি হয়। তখন ক্ষমতা বিচার, চিকিৎসা বিত্তশালীদের কাছে বন্দি হয়ে যায়। আমাদের সংবিধানে যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এটার পরিবর্তে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ব্যস্থাপনায় গোটা রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। মাফিয়ারা দিনদিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আগামী নির্বাচেন মহাজোটের সাথে আমরা থাকি তাহলে যে ইশতেহার হবে মহাজোট নেতার কাছে অনুরোধ করব, বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য।


উনি এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট মানুষের প্রয়োজন। সাথে সাথে কালোবাজারি, ধান্ধাবাজ মাফিয়াদের হাত থেকে দেশ, আইন, চিকিৎসা, শিক্ষা সবকিছুকে উদ্ধার করতে হবে। আর না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া যাবে না। মহাজোটে থাকলে আমরা এটা ইশতেহারে দেয়ার জন্য বলব। আর না থাকলে নিশ্চয়ই আমাদের সমমনা দলগুলো মধ্যে ইউনিটি তৈরি হবে আশা করছি। তখন আমরা আমাদের ইশতেহারে প্রকাশ করব।


বিবার্তা: গুরুত্বপূর্ণ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


মিছবাহুর রহমান চৌধুরী: আপনাকেও ধন্যবাদ।


বিবার্তা/সোহেল/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com