
ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
তাছাড়া মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভোর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৬২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মেডিকেল সূত্র। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন ত্রাণের আশায় অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষ। মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন গাজায় দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েল কর্তৃক মানবিক সহায়তা প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ এই সংকট আরও ঘনীভূত করছে।
এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফার ইয়াত্তায় এক ইসরায়েলি বসতিস্থাপক ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ও শিক্ষক ওদেহ মোহাম্মদ হাদালিনকে গুলি করে হত্যা করেছে।
মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেম ও ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস পৃথক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রথমবারের মতো গাজায় ‘বাস্তব দুর্ভিক্ষ’ চলছে বলে স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় ‘এক বিন্দু খাবার’ আটকানো যাবে না- সবকিছু ঢুকতে দিতে হবে।
যুক্তরাজ্য সফরের সময় সোমবার (২৮ জুলাই) এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারি- বিশেষ করে কিছু শিশুদের। ওদের দেখে বোঝা যায়, সেটা সত্যিকারের ক্ষুধা। এটা বানানো নয়, আমরা দেখছি এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই- এ কথা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, টেলিভিশনে যেটা দেখছি, তা দেখে বলা যায় না যে সেখানে দুর্ভিক্ষ নেই। শিশুদের দেখেই বোঝা যায় ওরা অভুক্ত।
সূত্র: আল-জাজিরা
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]