বুধবারও জেঁকে বসবে তীব্র শীত
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩:৩৬
বুধবারও জেঁকে বসবে তীব্র শীত
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পৌষের মাঝামাঝি এসে দেশের ওপর জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা না মেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে। এতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই শীতের অনুভূতি বেড়েছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ তীব্রতা আগামীকাল বুধবারও অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পুরোপুরি শীত কমবে না। আগামী সপ্তাহে আবারও তাপমাত্রা কমার শঙ্কা রয়েছে।


৩০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান অনেকটাই কমে গেছে। এ কারণেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।


তিনি জানান, আগামীকাল বুধবারও এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের কিছু এলাকায় দিনের মধ্যভাগে কুয়াশা কিছুটা কাটতে পারে এবং সূর্যের দেখা মিলতে পারে। এতে দিনে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতে সামান্য বাড়তে পারে। আপাতত দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।


টানা তিন দিন ধরে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সেখানে তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সোমবার ছিল ১০ ডিগ্রি এবং রোববার নেমে গিয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।


নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আখতার ফারুক জানান, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে তাপমাত্রা কয়েক দিন ধরেই নিম্নমুখী। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। যদিও রবি ও সোমবারের তুলনায় তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবু জেলার ওপর দিয়ে এখনও তীব্র শীত বয়ে যাচ্ছে।


এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পাশাপাশি হাওর অঞ্চলে বোরো ধান রোপণের মৌসুম চলায় কৃষকদের কাজেও বাড়তি সমস্যা দেখা দিয়েছে।


রাজধানী ঢাকাতেও তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। কনকনে ঠান্ডায় সকাল ও সন্ধ্যায় মানুষকে জবুথবু অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। দৈনন্দিন কাজে বের হতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।


আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঢাকায় শীত বেশি অনুভূত হওয়ার মূল কারণ সূর্যের আলো না থাকা এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়া। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ব্যবধান কম হওয়ায় শীতের অনুভূতি বেড়েছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের চার দিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। আগামী চার দিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অনেক এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর। বুধবার কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।


পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সারাদেশে রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে এবং দিনে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। শুক্র ও শনিবার তাপমাত্রা মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকবে। তবে এর পরের পাঁচ দিনের শেষ দিকে আবারও রাত ও দিনে তাপমাত্রা কমতে পারে। জানুয়ারি মাসজুড়েই শীতের প্রভাব অব্যাহত থাকতে পারে। অর্থাৎ আপাতত শীত থেকে পুরোপুরি রেহাই মিলছে না।


বিবার্তা/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com