
ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদারের আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে ৫৮ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরে তাকে ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত সানারপাড় এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুর ১৯ বছর পার হলেও দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমার একটি গর্বিত অধ্যায়ে রয়ে গেছেন দিলদার।
পুরো নাম দিলদার হোসেন। তবে সিনেমায় তিনি শুধুই দিলদার। ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের 'কেন এমন হয়' সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ের পা রাখেন তিনি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দিনে দিনে তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী, অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে থাকেন বাংলা চলচ্চিত্রে।
দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করেই নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। এমন অনেক ছবি ছিল শুধু তার জন্য ছবির স্ক্রিপ্ট আলাদা ভাবে লেখা হত। এরপর নায়কের সহ অভিনেতা ও খল অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করলেও ঢাকায় সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা হিসাবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন দিলদার।
অসংখ্য বাংলা সিনেমায় অভিনয়ের পর মৃত্যুর বছরেই দিলদার সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে 'তুমি শুধু আমার' সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ব্যক্তিজীবনে দিলদার দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
দিলদার পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলী জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’ 'গাড়িয়াল ভাই', 'অচিন দেশের রাজকুমার', 'প্রেম যমুনা', 'বাঁশিওয়ালা' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
২০০৩ সালে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে 'তুমি শুধু আমার' চলচ্চিত্রের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]