
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিন দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরাতে সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। দুপুর সোয়া ২টা নাগাদ শিক্ষকরা সরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যান। যদিও শিক্ষকদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। তবে শিক্ষকদের একটি পক্ষ বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকরা সরে যাওয়ার পর পল্টন থেকে কদম ফোয়ারামুখী সড়ক খুলে দেওয়া হয়। ফলে এখন যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আশপাশ এলাকায় এখনও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন। বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর উপস্থিতির কারণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়ার ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করার বিষয়ে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ। এরপর এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে আপত্তি শুরু হয়। শিক্ষকেরা বলে আসছেন মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি শিক্ষকদের জন্য ‘লজ্জার বিষয়’। তাঁরা মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে ১৩ আগস্ট এক শিক্ষক সমাবেশে শিক্ষা উপদেষ্টা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, চিকিৎসাভাতা ১৫০০ টাকা এবং উৎসবভাতা ৭৫ শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হন। এর মধ্যে ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে অর্থ মন্ত্রণালয় মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করলে ক্ষোভ আরো বাড়ে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]