
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়া আরও ২৮ বাংলাদেশি দ্বিতীয় ধাপে দেশে ফিরছেন আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। জানা গেছে, বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে ইন্ডিগো বিমান যোগে আরব আমিরাত থেকে তারা দেশে ফিরবেন বলে। এদিকে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রথম ধাপে ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর দণ্ডিত ৫৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সেদিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে এর আগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ক্ষমা করেছেন। শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির প্রেসিডেন্টের নির্দেশের সঙ্গে সংগতি রেখে অ্যাটর্নি জেনারেল চ্যান্সেলর ড. হামাদ আল শামসি সাজা বাস্তবায়ন বন্ধ করার ও নির্বাসন প্রক্রিয়া শুরুর আদেশ জারি করেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব বাসিন্দাকে দেশের আইনকে সম্মান করার জন্য আহ্বান জানিয়ে জোর দিয়ে বলেছেন, মতামত প্রকাশের অধিকার রাষ্ট্র ও এর আইনি কাঠামো দ্বারা সুরক্ষিত।
এর আগে, গত ২০ জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেন। এরপর ৫৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিচারের পর এই প্রবাসীদের মধ্যে কারও ১০ বছর, কারও ১১ বছর—এমনকি কারও কারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা সুবিধাও বন্ধ করেছে দেশটি।
পরে ১১ আগস্ট পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আটক ও দণ্ডিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এরপর ১২ আগস্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের মিশনপ্রধান মুহাম্মদ মিযানুর রহমান জানান, এই ৫৭ জনকে মুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। অবশেষে সেই ৫৭ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেলেন।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]