ঢাকার ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের মামলায় চালকসহ পাঁচ জনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার বিচারিক হাকিম আতিকুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জানান, সোমবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার পরিদর্শক জাকারিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলো বাসচালক বাবু মল্লিক, বলরাম, সোহেল, আবদুল আজিজ ও মকবুল হোসেন।
সোমবার ধর্ষণের শিকার ওই নারী বিচারিক হাকিম মনিকা খানের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রেজাউল দীপু জানান, গণধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
গত রবিবার কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার জন্য ওই নারী যাত্রীসেবা পরিবহনের ওই বাসটিতে ওঠেন। এসময় বাসটির ভেতরে থাকা কয়েকজন যুবক, বাসচালক ও চালকের সহকারী মিলে ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর চিৎকার শুনতে পেয়ে ধামরাইয়ের পাল সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে পুলিশ বাসটি আটক করে। এ সময় বাস থেকে পাঁচ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করে।
ওই রুটে চলাচলকারী নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ঘটনার পর থেকে তাঁরা আতঙ্কে আছেন। সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে বাসে ওঠা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা। দুশ্চিন্তা করছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও।
এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন চট্টগ্রামের এক পোশাক শ্রমিক। এ ছাড়া ওই বছরেরই ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে (২৫) গণধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়।
বিবার্তা/শরীফুল/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]