ঢাকার ডেমরা ও নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। ডেমরায় অটোরিকশার ধাক্কায় নিহত মোহাম্মদ ইউসুফ (৬৫) ফলের দোকানের কর্মচারী ছিল।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বামৈল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত দেড়টার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতকে (ঢামেক ) হাসপাতালে নিয়ে তার মেয়ে নিপা আক্তার জানান, আমার বাবা ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় একটি ফলের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাবাকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে বাবা গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকে। পরে লোক মারফত খবর পেয়ে বাবাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসক বাবাকে মৃত বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার দক্ষিণ লক্ষীপাশা গ্রাম। ডেমরা বামৈল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় সপরিবারে থাকতেন তিনি।

অপরদিকে নরসিংদীতে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী মোহাম্মদ ফাইজুল (৬৫ বছর) এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে জেলার মনোহরদী এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ জানান, আমার বাবা গতরাতে আত্মীয়র বাসা থেকে ফেরার পথে নরসিংদীর হাইওয়ে রোডের মনোহরদী এলাকায় একটি দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যান আমার বাবার বাইসাইকেলকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে পাশের একটি আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাবা গুরুতর আহত হন। পরে আমরা খবর পেয়ে বাবাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাই,পরে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসলে চিকিৎসক বাবাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আমাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার কাহেদের গাও গ্রাম তার পিতা মৃত দেনায়েত আলী।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ডেমড়া ও নরসিংদীর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুটি ঘটনাই মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে জানানো হয়েছে।

বিবার্তা/বুলবুল/মাসুম