
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণে নারী শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যান। তারা হলেন, মোহাম্মদ সোহেল (২০) ও মোহাম্মদ ইসমাইল (১১)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুই ভাই।
২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আই সি ইউ) তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে সোহেলের ৭০ শতাংশ এবং শিশু ইসমাইলের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারা। এ ঘটনায় আরো চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাবুল ৬৬ শতাংশ, সেলি ৩০ শতাংশ, মুন্নি ২০ শতাংশ ও তাসলিমা ৬৩ শতাংশ। তারা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহতদের মামা আবদুস সোবাহান জানান, দগ্ধরা সবাই রূপগঞ্জের হকিরা ফ্যাশনের পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তারা সবাই একই বাসার একই রুমে বসবাস করতেন। শুক্রবার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে রাতে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে দগ্ধ হন তারা। আমাদের সকলেরই ধারণা, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমেছিল। ম্যাচ লাইটার ধরানোর সাথে সাথে বিস্ফোরণ ঘটে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতের দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাঁও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন। পরে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের সবাইকে আইসিইউতে পাঠান।
বিবার্তা/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]