ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই কোনো হাউজিং মাঠ দখল করে প্লট বানাতে পারবে না। যেখানে যেখানে খেলার মাঠ আছে সেগুলো অবৈধভাবে কেউ দখল রাখলে তা উদ্ধার করা হবে।

১৮ অক্টোবর, বুধবার রাজধানীর রূপনগর এলাকার ইস্টার্ন হাউজিংয়ে বিশিষ্ট নাগরিকজনদের নিয়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানিগুলি তাদের প্রকল্পে মাঠ দেখায়; পার্ক দেখায়, রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, বিনোদনের জায়গা দেখায়। এসব দেখিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ব্যবসা করার অনুমতি নিয়ে আসে। এত সুযোগ সুবিধা দেখে মানুষ যখন কিনতে শুরু করে অমনি তারা মাঠটাকে প্লট করে ফেলে, খোলা জায়গাটা প্লট করে ফেলে এবং বিক্রি করে দেয়।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-কে এ ক্ষেত্রে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, তদারকি করতে কোনো সমস্যা হলে আমরাই জনগণকে নিয়ে তদারকি করব। যে সব হাউজিং কোম্পানিগুলো যে পরিকল্পনা জমা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করুন।

কোম্পানিগুলোর ব্যবসার জন্য সাধারণ মানুষ কষ্ট করছে, সাধারণ মানুষ সরকারকে দোষারোপ করছে বলে উল্লেখ করে বলেন, জনগণ তো জানে না এই সুবিধাগুলি হাউজিং গুলো করে দিতে বাধ্য।’

মেয়র আতিক বলেন, রূপনগর থেকে তুরাগ নদী পর্যন্ত খালের আশেপাশে কোনো বাড়ি তৈরি করা যাবে না।

এ সময় তিনি অবৈধ দখলদারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, উচ্ছেদ কর্মসূচির চলার আগেই রাস্তা ও খালের আশেপাশের জায়গা খালি করে চলে যান। নাহলে বুলডোজার ভাঙচুর শুরু করলে কিছুই নিয়ে যেতে পারবেন না।

মেয়র বলেন, জন্মনিবন্ধন নিতে ভোগান্তি হয় বিধায় অনেকেই অনলাইনে জন্মনিবন্ধন পছন্দ করেন না। তাই ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অধীনেই জন্মনিবন্ধন হবে। কোনো জোনাল অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

পল্লবী দ্বিতীয় পর্ব বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল বাহারের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবদায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু প্রমুখ।

বিবার্তা/জবা