
নওগাঁর রাণীনগরে চলতি আমন মৌসুমে ধান রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। গত ইরি বোরো মৌসুমে ধানের ফলন এবং ভাল দাম পাওয়ায় আমন ধান চাষে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ধান রোপনের লক্ষে ৯৪৫হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এই মৌসুমে বন্যার কারনে উপজেলার বিল এবং নিচু এলাকা পানিতে ডুবে যায়। ফলে অনেক এলাকায় আমন আবাদ করতে পারেননা কৃষকরা। তার পরেও উপজেলা জুরে এবার ১৮হাজার ৯১০হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব জমিতে ব্রি ধান-১০৩,৮৭,৭৫,৮৪,৩৪, স্বর্ণা-৫, ব্রি ধান ৪৯, ৫১সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হবে। তবে এসব জাতের মধ্যে উপজেলায় এইবার প্রথম ব্রি ধান ১০৩জাতের ধান রোপণ করবেন কৃষকরা। এসব জমিতে ধান রোপনের বিপরীতে প্রায় ৯৪৫হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতি মধ্যেই কৃষকরা জমিতে হাল চাষ থেকে শুরু করে ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ঝুঁকে পরেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ধান রোপণ শুরু হবে।
কালীগ্রাম কসবা পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান,গত ইরি বোরো মৌসুমে ১৬ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছিলেন। সে সময় ধানের ফলন এবং দাম ভাল পেয়েছেন। ফলে বেশ লাভবান হয়েছেন। চলতি মৌসুমেও তিনি ১৬বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করার লক্ষে জমি প্রস্তুত করছেন।
বড়িয়াপাড়া গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান জানান,আমন ধান রোপনে প্রায় ৯বিঘা জমি প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে আতব ,স্বর্ণা-৫,ব্রি ধান ৫১জাতের ধান রোপন করবেন।
কালীগ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান জানান,তিনি এবার ১০বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করছেন। ইতি মধ্যে তিনি ধান রোপণ শুরু করেছেন।
কৃষকরা বলছেন,গত ইরি বোরো মৌসুমের মতো ধান চাষে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং রোগ বালায় বা প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে আসা করা যায় এবারও ধান ভাল হবে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান,আমন আবাদে শুরু থেকেই যেনো কোন ত্রুটি না হয় সে লক্ষে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ইতি মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় ধান রোপন শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরো উপজেলা জুরেই ভরপুর ধান রোপন শুরু হবে।
বিবার্তা/সাহাজুল/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]