থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মত: ট্রাম্প
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:২০
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মত: ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সীমান্তে তিনদিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।


দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে উত্তপ্ত রণক্ষেত্র থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার বিরোধ নিরসনে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ফুমথম উভয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।


সামাজিক মাধ্যমে তিনি জানান, থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়া দুই দেশই শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ফুমথমও পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি আছে, তবে সেটা বাস্তবে কবে, কীভাবে হবে তা স্পষ্ট নয়।


ট্রাম্প বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সংঘাত বন্ধ না হয়, তাহলে কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হবে না। ট্রাম্প লিখেছেন, উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চেয়েছে।


যদিও ট্রাম্পের প্রস্তাবের আগে, কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল থাইল্যান্ড। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ব্যাংককে শান্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছে নমপেন। বলছে, সংঘর্ষের কোনো মানে নেই, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। এ প্রস্তাবের জবাবে থাইল্যান্ড সাফ জানিয়ে দেয়, কম্বোডিয়ার আন্তরিকতা প্রমাণ করলেই হবে শান্তির আলোচনা।


যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ান নেতৃত্বাধীন মালয়েশিয়া দুই দেশকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও থাইল্যান্ড জানায় তারা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চায় না। তবে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী আগেই আসিয়ান চেয়ার অনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন।


আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আমি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসানকে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি এবং সংঘর্ষ থামানোর জন্য আমি নিজেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাব ।


এদিকে, সিএনএনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে থাইল্যান্ড অনেক এগিয়ে। কম্বোডিয়ার চেয়ে সেনা সদস্য প্রায় তিনগুণ, আছে আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-সিক্সটিন ও গ্রিপেন।


প্রতিবেদনে জানানো হয়, কম্বোডিয়ার বাহিনী তুলনামূলক দুর্বল, পুরানো সোভিয়েত ট্যাংক আর চীনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবেদনে বিশ্লেষকরা জানান, থাইল্যান্ড ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ, আর কম্বোডিয়া এখন চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র।


বিবার্তা/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com