
ফেনীর সোনাগাজীতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্মান কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে কুঠিরহাট সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আইনুর হোসেন (মিরাজ)। তিনি সোনাগাজীর চরগোপালগাঁও গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিষ্ণপুর মৌজার সি.এস. খতিয়ান নং- ৭৪ ও এস.এ. খতিয়ান নং- ১১৪ এর দাগ নং- ৯১৩, ৯১৪ এবং বি.এস খতিয়ান নং-৪৫৩ এর দাগ নং-১৬৪০ দাগে ৫ শতক জমি তার পিতা মোতাহার হোসেন ছাপকবলা দলিলমূলে ক্রয় করেছেন যার উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তমান মালিক তিনি ও তার দুই বোন। তাদের পারিবারিক সম্পত্তি হিসাবের জন্য উক্ত জমি পরিমাপ পূর্বক সীমানা নির্ধারনের কাজ শুরু করেন।
কিন্তু উক্ত জমির উত্তর পার্শ্ববর্তী জমির মালিক শহীদ ও সোহাগ জমির পরিমাপের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে আসছেন। সাবেক চেয়ারম্যান সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে এই বিরোধ নিষ্পত্তি করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। চেয়ারম্যানের নির্দেশমত একাধিকবার পরিমাপের উদ্যোগ নিলেও শহিদগং অসহযোগিতা ও হুমকি-ধামকিতে তা কখনোই সম্ভব হয়নি। হুমকির পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
গত ১৩ এপ্রিল কুঠিরহাট বাজার বণিক সমিতি এবং ৩ মে কুটিরহাট বাজার ইজারাদার কমিটি বরাবর অভিযোগ দেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ জুনে যে বৈঠক হয়েছে সেখানে তারা কেউ হাজির হয়নি।
বৈঠকে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তার মালিকানার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মালিকানা সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। সালিশগণ অভিজ্ঞ আমিন দ্বারা পরিমাপ করিয়া তাকে সীমানা খুঁটি দিয়া জমি বুজিয়ে দেন।
নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী গত ২৭ জুনে দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে শহিদ গং কাজে বাধা প্রদান করে। পরবর্তীতে গত ৭ জুলাই সে তার বৃদ্ধ মাতাকে বিবাদী করে ১৪৫ ধারা মামলা দায়ের করে শহিদগং।
মামলায় নালিশি সম্পত্তি হিসেবে সি.এস. ৯১৩ ও ৯১৪ দাগে ও এস.এ. খতিয়ান নং- ১১৪ এর দাগ নং- ৯১৩, ৯১৪ দাগ এবং বিএস ২৬০ নম্বর খতিয়ান ১৬৩৬ ও ১৬৩৭ দাগের ৩২ ডিসিম সম্পত্তি উল্লেখ করে। কিন্তু বাস্তবে ২৬০ নম্বর খতিয়ানে উক্ত দাগে শহিদগংয়ের ২৪ ডিসিম সম্পত্তি রয়েছে।
তাদের খতিয়ান নম্বর ৪৫৩ ও দাগ নম্বর ১৬৪০ যা উনাদের দাগ ও খতিয়ান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এক্ষেত্রে ১৬৪০ দাগে আমার সিমানা দেয়াল তৈরীতে কোন বাধা থাকার কথা নয়। কিন্তু শহিদগং জোরপূর্বক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার মিস্ত্রিদেরকে কাজে বাধা প্রদান করে, পূর্বেও তারা এধরনের আচরণ করেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় কোনরকম তথ্য প্রমাণ প্রদর্শন ছাড়াই মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে অপপ্রচার চালান যা তার পরিবারের জন্য সম্মানহানি কর।
তিনি দলিল পত্র অনুযায়ী উক্ত জমির বৈধ মালিক ও দখলদার। তার সকল প্রকার কাগজপত্রের ভিত্তিতে নিজ জমির সীমানা নির্মাণ করা জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
এর আগে, গণমাধ্যমে দেয়া এক বক্তব্যে শহিদ উক্ত সীমানা দেয়াল বিরোধীয় জায়গায় বলে দাবি করেন। আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত সীমানা দেয়াল নির্মানকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।
বিবার্তা/মনির/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]