
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য রয়েছে মাত্র ২২টি বাস। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তার মধ্যে যে বাস রয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই পুরানো, ফিটনেসবিহীন নয়তো অকার্যকর। ফলে বৃষ্টির দিনে পুরানো মরিচা পড়া বাসের মধ্যেই ভিজে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কখনও কখনও ধাক্কা দিয়ে চালু করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ফলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ববি শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একযুগ পেরিয়ে গেলেও ২৫টি বিভাগে অধ্যয়নরত প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র ৪টি আবাসিক হল। এ কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে মেস বাসায় বসবাস করেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের প্রধান ভরসা এই দুর্বল পরিবহণ ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ৩টি রুটে পরিবহণ চালু রেখেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ সেবা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। সময়মতো বাস মেলে না, মিললেও তাতে ওঠার সুযোগ থাকে না। কারণ একটি বাসের বিপরীতে আসন সংখ্যার কয়েকগুণ বেশি শিক্ষার্থী অপেক্ষায় থাকতে হয়। তাই সিট পাওয়া তো দূরের কথা দাঁড়িয়েও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। এ দুর্ভোগ 'বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন বাজার রুটে সবচেয়ে বেশি। শিক্ষার্থীদের সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগ হচ্ছে বিআরটিসি থেকে ভাড়ায় আনা বাসগুলোতে। এসব বাস খুব পুরানো হওয়া এ বাসগুলোতে বেশি দুর্ভোগে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীরা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার বলেন, বৃষ্টির দিনে বাসের সিট পানিতে ভিজে যায়। নতুন বাজার রুটের বাস গুলো সময় মত পাওয়া যায় না। পেলেও তাতে সিট থাকে না, দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্যও জায়গা মেলা কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে অন্যান্য গণপরিবহনে টাকা খরচ করে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
মো. রাজিব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিআরটিসির বাসের সিট অধিকাংশই ভাঙা এবং খুবই ধীর গতিতে চলে। প্রায় মাঝ পথে বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখন শিক্ষার্থীরা মিলে ধাক্কা দিয়ে অচল বাস সচল করে গন্তব্যে যেতে হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ঠিক সময় ক্লাসেও যেতে পারছেনা।
আরেক শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, বাস আছে ঠিকই, কিন্তু ব্যবহারযোগ্য নয়। কখন আসবে, আসবে কিনা—এই অনিশ্চয়তা প্রতিদিনই ভোগাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহণ পুলের ম্যানেজার মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েছি ১ মাসের মত। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বিআরটিসির ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছি এবং তারা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে খুব দ্রুত তারা মানসম্মত বাসের সেবা নিশ্চিত করবে। আমাদের ৩ টা বাস মেরামতের জন্য দিয়েছি এবং আমরা খুব দ্রুত বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের সাথে বসে পরিবহনের সংকটের কথা শুনবো এবং দ্রুত কার্যকরের ব্যবস্থা নিবো।
বিবার্তা/মৃত্যুঞ্জয়/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]