
‘বন্যার পানি আইসে আমার মাটির দালানসহ তিনটা ঘর ভেঙে গিয়েছিল। আমার কিছুই ছিল না; সব পানিতে নষ্ট হয়ে গেছিল। এই স্যারেরা (আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি) আইসে আমাকে খুঁজে বের কইরে এই ঘরটা নির্মাণ করে দিলেন। আগে ছিলাম মাটির দালান ঘরে, স্যারদের উছিলায় এখন থাকমু বিল্ডিং ঘরে। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যা করেন, বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন। এখন আমি খুব খুশি। দোয়া করি আল্লাহ স্যারদের মঙ্গল করুক।’
রবিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এভাবেই এসব কথা এ প্রতিবেদককে বলছিলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার চাপাঝোড়া এলাকার মো. জংসের আলী। জংসের আলী ওই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। তিনি গত বছরের ৪ অক্টোবরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পানিতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন।
শুধু জংসের আলী নয়, তার মতো বন্যায় নিঃস্ব এ উপজেলার ১০৫ জন ব্যক্তিসহ জেলার চারটি উপজেলায় ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১৬০ জন ব্যক্তিকে ইটের দেয়াল ও টিনের ছাউনি দিয়ে একটি করে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়।
‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ এর মানবসেবা বিভাগের প্রজেক্ট এক্সিকিউটিভ মো. জোবায়ের ইবনে কামাল জানান, গত বছরের ৪ অক্টোবরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় শেরপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বন্যা পরবর্তী ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে তিন হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৯৯টি পরিবারের মাঝে নগদ ৪০ হাজার টাকা করে মোট ৭৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদান এবং যাদের ঘর একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়েছিল এ রকম ১৬০টি পরিবার মাঝে একটি করে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
আজ সকালে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঢাকা ভার্টেক্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও শামীম ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নিকট ১৪০টি সেমি পাকা ঘর বুঝে নেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ কর্মকর্তারা।
এ সময় ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ এর মানবসেবা বিভাগের প্রধান মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, প্রজেক্ট এক্সিকিউটিভ মো. জোবায়ের ইবনে কামাল, শেরপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রক্ত সৈনিক বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাতা মো. আল আমিন রাজু, ‘রক্ত সৈনিক বাংলাদেশ’ এর শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনিরসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ এর মানবসেবা বিভাগের প্রধান মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, শেরপুর জেলার বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণভাবে নির্মিত ঘরগুলো আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে বুঝে নিয়েছি। বাকি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রæত সময়ের মধ্যে উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিবার্তা/জাহিদুল/মনির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]