
তীব্র তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৯ শতাংশ।
আর দুপুর ৩ টায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়া এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ।
আর শুক্রবার বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে।
ফেরি করে বাদাম বিক্রেতা রমজান বলেন, হেঁটে হেঁটে শহরের বিভিন্ন গলিতে বাদাম বিক্রি করে সংসার চালাই। তীব্র গরমে আজ একদম বেচাকেনা নেই। অতিরিক্ত গরমে আজ রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম করছে।
সাকিব নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, আজ রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। রাস্তায় যেমন গরম, ঘরের মধ্যেও প্রচণ্ড গরম। ফ্যানের বাতাস থেকে যেন আগুন হয়ে ঝরছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে আজ। আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অথ্য অনুযায়ী, ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। সে হিসাবে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে।
বিবার্তা/আসিম/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]