পিরোজপুর ইন্দুরকানী এফ করিম আলিম মাদ্রাসার(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় একই প্রতিষ্ঠানের আরবি প্রভাষক মোঃ মাহাবুবুর রহমানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি। বুধবার মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি জরুরি সভা ডেকে কমিটির সকলের সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । তদন্ত কমিটি ১০ কার্যদিবসে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।

উল্লেখ্য, গত ৫ মে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম আরবি প্রভাষক মোঃ মাহাবুব রহমান কে মাদ্রাসায় কেনো নিয়মিত সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকেন না এইসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মাহাবুব রহমানের সাথে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাহাবুবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে গালিগালাজ করে এবং মাদ্রাসার কক্ষেই শিক্ষকদের সামনে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম ইন্দুরকানী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিকে বিষয়টি জানালে কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা গত ০৬ মে সভা আয়োজন করলে সভায় ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা সকল শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের বক্তব্যে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার সত্যতা খুজে পান এবং অভিযুক্ত আরবি প্রভাষক মাহাবুব রহমান ঘটনার সত্যতা শিকার করেন বলে জানা গেছে।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম জানান, আরবী প্রভাষক মাহবুবুর রহমান শিক্ষাকতার পাশাপাশি ২টি এজেন্ট ব্যাংকিং এবং একটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি পরিচালনা করেন। এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য তিনি প্রায়ই দেরী করে মাদ্রাসায় আসেন। গত ০৫/০৫/২০২৫ তারিখও তিনি দেরী করে আসলে আমি তাকে কারন জিজ্ঞাসা করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ মারধর করেন।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্তকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে এবং অধিকতর তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিবার্তা/শামীম/এসএস