
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে নতুন বোরো ধান উঠতে শুরু করেছে। ফলে ধীরে ধীরে কাটছে ধানের সংকট। এ অবস্থায় ধানের সংকটে দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকা চালকলগুলোও পুনরায় উৎপাদনে ফিরেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে ধানের সরবাহ বাড়লে দাম কমবে- যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে চালের বাজারে। তবে এবার সরকারিভাবে ধানের যে দর বেধে দেয়া হয়েছে- চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে তা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন চালকল মালিকরা। প্রায় তিন মাস ধরে চলা ধানের সংকট কাটিয়ে আবারও জমজমাট হতে শুরু করেছে দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় আশুগঞ্জ ধানের মোকাম। মেঘনাপাড়ের এই হাট ধানের যোগান দেয় জেলার আড়াইশ চালকলে।
তবে চাহিদা মেটাতে ধান আনতে হয় দেশের অন্যান্য মোকাম থেকেও। আমন মৌসুম শেষে গত ডিসেম্বর থেকে ধানের সংকট দেখা দেয় মোকামে। ধীরে ধীরে যা প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে দামও ছিল বেশ চড়া। পাশাপাশি ধানের সংকটে জেলার অধিকাংশ চালকল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে উঠে চালের বাজার। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মোকামে নতুন ধান উঠতে শুরু করায় আবারও সচল হয়েছে বন্ধ চালকলগুলো। কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে শ্রমিকদের মাঝে।
বর্তমানে মোকামে মিলছে বিআর-৮৮ ও মোটা ধান। তবে ধীরে ধীরে মোকামে ধানের সরবরাহ বাড়ছে, ফলে দাম কমলে চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন চালকল মালিকরা।
এবার বোরো মৌসুমে সরকার প্রতি কেজি ধান সংগ্রহ করবে ৩৬ টাকায়। তবে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ধানের দাম অন্তত ১ টাকা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণের দাবি চালকল মালিক সমিতির।
জেলা চালকল মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমরান বলেন, বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ধানের দাম অন্তত ১ টাকা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণের দাবি চালকল মালিক সমিতির বলে তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চালকলগুলো থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার চাল পাঠানো হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]