
৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে সৃষ্টি হয় অচল অবস্থার। কয়েদিদের নিরাপত্তা দিতে নিজেদেরই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে কারাগারের রক্ষীরা। বিভিন্ন স্থানের মতো কুড়িগ্রামের জেলখানায়ও তৈরি হয় নিরাপত্তা সংকট। কুড়িগ্রামে এমন সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। কারারক্ষীদের সাথে ৯ জন সেনা সদস্যরা চার শিফটে ভাগ হয়ে কারাগারের গেইট থেকে শুরু করে ভিতরের সব জায়গায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। সেই সাথে ৫ আগস্টের আগে জেলখানার ভিতরের নানা অনিয়ম দূর করার প্রয়াস চালান।
এক কয়েদির আত্মীয় নাগেশ্বরী থেকে আসা শামীম মিয়া জানান, আগে দেখা করতে আসলে অনেক সময় বসে থাকা লাগতো, কোনো কোনো দিন দেখাও মিলত না কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই।
রাজারহাট থেকে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, আগে দেখা করতে টাকা লাগতো এখন লাগে না। আবার পিসি লাগিয়ে দিলে ওখানে কম পাইতো এখন সে সমস্যাগুলোও হয় না। খাবারের মানও আগের তুলনায় ভালো হইছে।
এ ব্যপারে সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের কারাগারগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতার সাথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। সেই সাথে কারাগারের ভিতরের নানা অনিয়ম, খাবারের মান যাচাই, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ সব দিকেই আমরা নজর রাখছি। জেলার আইন শৃংখলা, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম জেলার জেল সুপার এ.জি মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের আগে কারাগারে অনিয়ম ও ত্রুটি ছিল, আমরা সেগুলো দূর করেছি। ১৬০ জনের ধারণক্ষমতার বিপরীতে এখন ৩৭৫ জন কয়েদি রয়েছে। নিজস্ব বাবুর্চি নাই। দুজন কয়েদি ভালো রান্না করে তাই এখন খাবার মান অনেক ভালো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রেই আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা প্রতিদিন খাবারের মান যাচাই করছে। সবার সার্বিক সহযোগিতায় কুড়িগ্রামবাসী যেন ভালো জেলসেবা পায় আমরা সেই চেষ্টাই করছি।
বিবার্তা/বিপ্লব/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]