
নরসিংদীতে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই স্কুল ছাত্রী প্রেমিকদের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দী গ্রামে আট বন্ধু মিলে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। ধর্ষিতা উভয়েই পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও বাঘাইকান্দী গ্রামের বাসিন্দা।
ধর্ষিতাদ্বয়ের পিতা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বাঘাইকান্দী গ্রামের কাইয়ুম (২১) ও মুন্না (২২) এর সাথে নৌকা নিয়ে ঘুরতে যায় দুই বান্ধবী। নৌকা দিয়ে ঘুরে ফিরে নদীতে সময় কাটিয়ে কৌশলে কাইয়ুম ও মুন্না বেলা গড়িয়ে গেলে সন্ধ্যায় নৌকা তীরে ভিড়ায় এবং তাদেরকে পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কাইয়ুম ও মুন্না তাদের আরো ছয় বন্ধুকে ডেকে আনে। বন্ধুরা এলে সকলে মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই নাবালিকা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। এখান থেকে ধর্ষিতারা এ অবস্থায়ই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। তাদের অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যরা ঘটনা জানতে তারা ঘটনার কথা প্রকাশ করে। অভিযুক্ত কাইয়ুম চরআড়ালিয়া গ্রামের সেন্টু মিয়ার পুত্র এবং মুন্না একই গ্রামের শাহ মিয়া পুত্র। এছাড়াও কাইয়ুম ও মুন্নার ডেকে আনা বন্ধুরা হচ্ছে, বাঘাইকান্দী গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া, একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া ও অজ্ঞাত আরো ৪ জন।
এব্যাপারে এক ধর্ষিতার পিতা বলেন, আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়েছি, চেয়ারম্যান বলেছেন বিচার করে দিবেন। আমরা বিচারের অপেক্ষায় আছি। থানা পুলিশী ঝামেলায় যেতে চাইনা। তাছাড়া মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আছি।
অপর ধর্ষিতার পিতা জানান, রাতে বাড়ি ফিরে ঘটনা শুনেই আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী। আমরা তাদের সংগে পারবো না। তাছাড়া মেয়েকে ভবিষ্যতে বিয়ে দেয়ার বিষয়টি চিন্তা করে এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছি। চেয়ারম্যান যে বিচার করবে আমি তাই মেনে নিবো। আমি গরীব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, থানা পুলিশ করার মত সমর্থ আমার নেই।
এ ব্যাপারে চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদা জামান সরকার বলেন, তারা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি ঘটনা শুনেছি। সকল বিষয় চিন্তা করে আমি তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জেনে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বিচারে বসবো।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। তাছাড়া কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/কামরুল/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]