
সাভারের আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ দাসকে হত্যা ও স্বর্ণ লুটের ঘটনায় জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে লুট হওয়া ১৩ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৭৬,০০০ টাকাসহ হত্যায় ব্যবহৃত দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান।
এর আগে গত ৯ মার্চ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক দিলীপ দাসকে তার স্ত্রী সরস্বতী দাসের সামনেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ডাকাতরা। এরপর তারা স্বর্ণের ব্যাগ লুট করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশের একটি বিশেষ টিম তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে ৬ ডাকাতকে শনাক্ত করে গ্রেফতার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, রিপন মিয়া,আরিফ প্রামানিক,শাহ-আলম,আরমান শেখ, স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম বাবু,মাসুদ রানা ওরফে কালা মাসুদ। এদের মধ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম বাবু (৪৫) ছাড়া বাকি ৫ জন সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেয়।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, গতকাল বিকেল ৩ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সাভার, আশুলিয়া, রাজশাহী ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৬ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের মধ্যে ৫ জন
ডাকাত ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হত্যার পর স্বর্ণ লুট করে এবং একজন ডাকাতি মালামাল তার জিম্মায় রাখে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য তারা দীর্ঘদিন ধরে সাভার-আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে আসছে। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে তারা
একটি ভাড়াটে গাড়ি নিয়ে নয়ারহাট বাজারে আসে। ইমরান ও আকাশ গাড়ির ভেতরে অবস্থান নেয়, শাহ আলম ও আরমান পাহারা দেয়, তালিম ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, রিপন ও আরিফ ধারালো চাপাতি দিয়ে দিলীপ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং মাসুদ রানা ওরফে কালা মাসুদ স্বর্ণের ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে লুণ্ঠিত ১৩ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৭৬,০০০ টাকাসহ হত্যায় ব্যবহৃত দুটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।
বিবার্তা/শরিফুল/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]