
ফেনীর গোবিন্দপুরে নৃশংসভাবে মারজাহান আক্তার ঝুমুর (১৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৬ মার্চ, রবিবার সকালে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম শাহাবুদ্দিন। সে ফেনী সদরের দক্ষিণ গোবিন্দপুর কামু ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা । তবে পলাতক হওয়ায় প্রধান আসামি নিহতের স্বামী সাইদুর রহমান ও শাশুড়িকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানান, ফেনী থানার ওসি সামছুজ্জামান।
জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে সোনাগাজীর আলমপুরের আবদুল আলিমের মেয়ে ঝুমুরের সাথে ফেনী সদরের গোবিন্দপুরের সাইদুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান ও পরবর্তী লেনদেন নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্ধ হয়।
এরই জেরে, গত ৪ মার্চ ঝুমুরকে অমানবিক নির্যাতন করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। স্পর্শকাতর জায়গাসহ তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম রডের ছ্যাঁকা দেয়া হয়। এতে তার শরীরের ২০% দ্বগ্ধ হয়।
মুমুর্ষু অবস্থায় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১২ দিন চমেকের আইসিওতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শনিবার (১৫ মার্চ) তার মৃত্যু হয়। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফেনীসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ঝুমুরের স্বামী সাইদুর রহমান, শ্বশুর সাহাবুদ্দিন ও শ্বাশুড়ি বিবি হাজেরা বেগমকে আসামি করে ফেনী থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, নৃশংসভাবে গরম রডের ছ্যাঁকা দিয়ে মেয়েটাকে হত্যা করা হয়েছে। কন্যা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ ব্যপারে ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুজ্জামান বলেন, এজাহারনামীয় আসামি নিহতের শ্বশুর শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড চাওয়া হবে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
বিবার্তা/মনির/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]