নোয়াখালীতে বাজার ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ২১:৩৯
নোয়াখালীতে বাজার ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নোয়াখালীর কবিরহাটে হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।


বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।


উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কবিরহাট উপজেলার বার্ষিক হাটবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন। এরপর শিডিউল কিনে অনেক নতুন ও পুরোনো দরদাতা দরপত্র জমা দেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম সমাপ্তি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ দর ২৩ লাখ টাকায় উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইাজারা পায় নতুন দরদাতা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ।


পরে ইউএনও কার্যালয় থেকে বের হলে আমিন বাজারের পুরোনো ইজারাদার বিএনপিনেতা ধনু মেম্বার ও তার ছেলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সুজন অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে তারা ইউএনও কার্যালয়ের সামনে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে উপজেলা পরিষদের মাঠে তাদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।


চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ বলেন, আমি কোনো দলের পরিচয়ে ইজারা পাইনি। ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তার ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙে যায় ও আরও কয়েকজন আহত হয়।


ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সুজনের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমাদের প্রায় ৯ থেকে ১০ জন লোক প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


বিষয়টি সম্পকে জানতে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা লিটন চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিক কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা বলেন, দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তখন আমি অফিসে ছিলাম। তবে, মারামারির কোনো ঘটনা দেখিনি। হাটবাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।


কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, ইজারা এক পক্ষ পেয়েছে, আরেক পক্ষ পায়নি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়।


বিবার্তা/সাইফ/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com