
অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটে গেছে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে। গ্রীষ্মের ছুটিতে ডেলিভারি বয়ের কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঝাং প্রতিদিনের মতোই পার্সেল পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তার গন্তব্যে। হঠাৎই রাস্তার ধারে দেখতে পেলেন একটি বালিশ। অন্য পথচারীরা সেটিকে এড়িয়ে গেলেও কৌতূহলী ঝাং হাতে তুলে দেখেন বালিশটি।
হাতে নিয়েই মুহূর্তেই চমকে ওঠেন তিনি—বালিশের উপর রক্ত দিয়ে লেখা একটি সংখ্যা ‘১১০৬২৫’।
প্রথমে ভয় পেলেও দ্রুত নিজেকে সামলে পুলিশে খবর দেন ঝাং। আর সেই ফোনেই বাঁচে এক নারীর জীবন।
পুলিশ জানায়, সিচুয়ান প্রদেশের একটি বহুতল ভবনের ২৫ তলায় একাই থাকতেন ওই মহিলা। ঘর পরিষ্কারের সময় দুর্ঘটনাবশত দরজা বন্ধ হয়ে এক কামরায় আটকে পড়েন তিনি। মোবাইল ফোন ছিল অন্য ঘরে, ফলে সাহায্যের জন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তিনি। প্রায় ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন তিনি।
চরম অসহায় অবস্থায় জানালা দিয়ে একটি লাল পোশাক ঝুলিয়ে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন ওই নারী, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। শেষমেশ আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে বালিশে লিখে ফেলেন ‘১১০৬২৫’। এর মধ্যে ১১০ হলো চীনের জরুরি হেল্পলাইন নাম্বার। আর ৬২৫ তার অ্যাপার্টমেন্ট নম্বর।
কোডটি লিখে বালিশটি জানালা দিয়ে নিচে ছুঁড়ে ফেলেন তিনি। সেই সংকেতই পৌঁছে যায় ঝাংয়ের হাতে।
ঝাংয়ের ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ওই অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে দরজা ভেঙে মহিলাকে উদ্ধার করে। উদ্ধার করার সময় তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরে জ্ঞান ফিরলে কেঁদে ফেলেন স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতায়।
উদ্ধার হওয়ার পর ঝাংকে ওই নারী পুরস্কার দিতে চাইলেও তিনি তা বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও ধন্যবাদ জানানো হয় ঝাংকে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]