
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্বন্দে বিতরণ হচ্ছে না সুপেয় পানি ট্যাংকি। এই উপজেলায় সুপেয় পানির অভাবে রেইন ওয়ারীর হারভেস্টিং প্রকল্পের হইতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংকি বিতরণ করা হয়। দীর্ঘদিনে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নামে বরাদ্দকৃত ট্যাংকি এখানো পাচ্ছে না।
জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের দুই প্যাকেজে পত্তাশী ইউনিয়নের ১৪৫টি ও সাবেক এমপির বরাদ্দকৃত ৯২৬টি পানি ট্যাংকি রয়েছে। এই ট্যাংকি বিতরণের নামের তালিকায় অনিয়ম রয়েছে। পত্তাশী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার তার মনের ইচ্ছা মতো তালিকা করা ও মেম্বারদের ন্যায্য অধিকার না দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ট্যাংকি বিতরণ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে ভোগান্তি স্বীকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ ।
ইউপি সদস্য মো. কবির শিকদার জানান, আমাদের পরিষদের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সাথে বিভিন্ন সময় বরাদ্দকৃত মালামাল ভাগ বণ্টনে অনিয়ম করেছে। তিনি সবসময় বরাদ্দকৃত অর্ধেক নিয়ে থাকে,আর বাকি অংশ আমাদের ইউপি সদস্যদের কে দেয় । আমাদের ওয়ার্ডে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দিলেও কোন সমাধান হয়নি। এছাড়া ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও শ ম রেজাউল করিমে বরাদ্দকৃত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯২৬টি পানি ট্যাংকি রয়েছে। সেই ট্যাংকিগুলো এখন পর্যন্ত বিতরণ হয়নি।
২নং পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, সরকারি সকল বরাদ্দ সমহারে ভাগ করে দেওয়া হয়। অনেক ইউপি সদস্যরা ভাগে কম পড়লে ও স্বার্থে আঘাত লাগলে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী শিমুল বড়াল জানান, এই এলাকায় অতিরিক্ত আর্সেনিক থাকার কারণে সুপেয় পানি খুবই অভাব। ২০২১-২২ সালে রেইন ওয়ারি হারভেস্টিং প্রকল্প শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ উপজেলা প্রায় ২ হাজারও ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্বন্দ্বে কারণে পত্তাশী ইউনিয়নের ১৪৫টি ট্যাংকি বিতরণ করতে পারিনি। এছাড়া সাবেক এমপির বরাদ্দকৃত ৯২৬টি ট্যাংকি নতুন করে তালিকা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে পরবর্তী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ পেলে এ অর্থবছরের মধ্যেই তা বিতরণ করতে সক্ষম হবো।
বিবার্তা/শামীম/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]