
টাঙ্গাইলে গ্রাম-শহরের দরিদ্র ও প্রান্তিকের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য করণীয় বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে সিভিল সার্জনের কনফারেন্স রুমে এই সভার আয়োজন করে ঢাকা আহসানিয়া মিশনের ‘কন্টিনিউয়েশন এন্ড স্কেল আপ অফ এইচআইভি প্রিভেনশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সার্ভিসেস ফর কী পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের টাঙ্গাইল ইউনিট।
অ্যাডভোকেসি সভায় এইচআইভি এইডসের বর্তমান অবস্থা, টাঙ্গাইলের কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন টাঙ্গাইলের ড্রপ ইন সেন্টারের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবু হানিফ।
অ্যাডভোকেসি সভায় এইচআইভি প্রতিরোধ ও আক্রান্ত রোগীর করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাদিকুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. আজিজুল হক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবজেল হক, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ সাজ্জাত হোসেন শুভ, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, ডা. নূর-ই-আলম তাহমিদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে এইচআইভি সংক্রমিত রোগী অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তাই এইডস থেকে বেঁচে থাকার অন্যতম উপায় হলো ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করা। আর এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচার। এছাড়াও এইচআভি রোগে আক্রান্ত মানুষের রক্ত যে কোনোভাবে অন্যের শরীরে প্রবেশ করলে তিনিও এইডসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই সিরিঞ্জ, সেভিং ব্লেড একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার না করলে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। এছাড়া এইডস রোগে আক্রান্ত মা তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালেও শিশু এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে এই ব্যাপারে সচেতন করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে জিও এনজিও উঠান বৈঠকগুলোতে পরামর্শ দেওয়া এবং গণমাধ্যমে এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে তুলে ধরার গতি বাড়াতে হবে।
বিবার্তা/বাবু/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]