
চুয়াডাঙ্গা বিল থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহটি নিখোঁজ স্কুল শিক্ষক সুজন আলীর (৩০) বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। মৃতের বড় ভাই আব্দুস সবুর এ দাবি করেন।
২৬ অক্টোবর, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর ঘাড়কাটি বিল থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
মুখসহ দেহের ৮০ ভাগ পচে গলে যাওয়ায় আসলে শনাক্ত করার কোন উপায় নেই যে মরদেহটি কার। তবে মরদেহের বাম হাতে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস মরদেহটি সুজন আলীর।
নিখোঁজ সুজনের বড় ভাই আব্দুস সবুর বলেন, আমার ছোট ভাই সুজন বেশ কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। সেসময় তার হাতের হাড় জোড়া লাগাতে সার্জিক্যাল রড ব্যবহার করা হয়। আজ যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে তার হাতেও সার্জিক্যাল রড রয়েছে। এতে করে বোঝা যাচ্ছে মরদেহটি আমার ভাইয়ের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মেদিনীপুর মাঠে ঘাড়কাঠি বিলে জনৈক সাহেদ আলী তরফদারের জমির জমির পানির মধ্যে কচুরিপানার ভিতরে মাঠে কাজ করা শ্রমিকেরা একটি গলিত মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ সংবাদটি পেয়ে গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে সিআইডি ও পিবিআইকে জানানো হয়েছে। তারা মরদেহ শনাক্তে কাজ করবেন। পরিবারের সদস্যরা মরদেহের হাতে সার্জিক্যাল রড দেখে নিখোঁজ সুজনের বলে দাবি করছেন। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া মরদেহটি কার তা শনাক্ত করা সম্ভব না।
উল্লেখ্য, সুজন জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগরের ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে সন্ধান পাওয়া যায় নি সুজনের।
বিবার্তা/সাইদ/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]